/ আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে খুলনায় যুবদলের বিক্ষোভ: ‘শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও লড়াই চলবে’: অ্যাডভোকেট মনা

আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে খুলনায় যুবদলের বিক্ষোভ: ‘শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও লড়াই চলবে’: অ্যাডভোকেট মনা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্লিপ্ততায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং দেশের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে খুলনা মহানগর যুবদল। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল সাড়ে চারটায় খুলনা রেলস্টেশনের সামনের সড়ক থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন খুলনা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ সুমন। মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়ক ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ।


সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা এবং প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মনা বলেন, “আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছি। আজও এই সংগ্রাম থেমে নেই।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি চিহ্নিত মহল দেশে আবারও অস্থিরতা তৈরি করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে।


তিনি বলেন, “দেশনায়ক তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই আগামীতে সর্বদলীয় সরকার গঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই ষড়যন্ত্র চলছে।”
তিনি যুবদল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাব।”

প্রধান বক্তা শফিকুল আলম তুহিন বলেন, “বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের মুখোশ পরে দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। যুবসমাজই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।”
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল আজিজ সুমন বলেন, “যুবদল এই রাষ্ট্রে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রথম সারির সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও আরও দৃঢ়ভাবে লড়বে।”

বিক্ষোভ ও সমাবেশে মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে যুবদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। দলীয় পতাকা, ব্যানার এবং স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে নগরীর প্রধান সড়কগুলো।