খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি ডিসিপ্লিনে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন আয়োজনের মাধ্যমে তাদের নতুন জীবন পরিক্রমার সূচনা হয়।
ওরিয়েন্টেশনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ল্যাব, লাইব্রেরি, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ডিসিপ্লিনভিত্তিক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।
বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন,“নতুনভাবে বাংলাদেশকে গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই যাত্রায় তরুণ সমাজকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ আমাদের দেখিয়েছে, পরিবর্তনের শক্তি ছাত্রসমাজের মধ্যেই নিহিত।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করেছে। এতে রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়ে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত হয়েছে।
উপাচার্য শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম, নেতৃত্ব গুণ, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও নৈতিকতা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেন। বিশেষ করে র্যাগিং, মাদক ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা বলেন এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও ধর্মীয় সহনশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান, কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত।
স্বাগত বক্তব্য দেন ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিন প্রধান ড. মোঃ মাহমুদ আলম, যেখানে তিনি ডিসিপ্লিনের পথচলা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক কেএম আব্দুল্লাহ আল-আমিন রাব্বি। নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে সরে এসে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ এবং নির্ধারিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জুলাই টার্মের প্রথম দিনেই ক্লাস শুরু করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।