নিজস্ব সংবাদদাতা, নলিয়ান (দাকোপ)ঃ দাকোপে সুতারখালী ইউনিয়নের জেলে কার্ডের ২৩ বস্তা সরকারী ত্রানের চালসহ ৩ জন হাতে নাতে আটক হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার নলিয়ানের কোষ্টগার্ড অফিসের দক্ষিণ পার্শ্বে গোলাপ সরদারের মাছের ঘের সংলগ্ন শিবসা নদীর তীর থেকে এ চাল আটক করে। এসময়ে একটি ট্রলারও জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন নলিয়ান এলাকার আবু বক্কর সিদ্দীকের ছেলে ট্রলার মালিক আছাবুর রহমান (৩০), আব্দুল হক সানার ছেলে জাহাঙ্গীর সানা (২৯), ছালাম গাজীর ছেলে উজ্জ্বল গাজী (২৮)।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এ চাল সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জাহিদ হাসান ফকিরের এবং ট্রলার মালিক ও কর্মচারীর সহযোগিতায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। তাছাড়া জেলেদের মাঝে বিতরনের সময়ে চাল কম দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আসলাম মাঝি জানান, নলিয়ান বাজারস্থ ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকিরের গোডাউন ঘর থেকে এ চাল ট্রলারে উঠানো হয়। ট্রলার মালিক আছাফুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান পুত্র ফারুক ফকিরের চাল। আটককৃত চাল চালনায় নামবে বলে তার সাথে ভাড়া চুক্তি হয়। সম্প্রতি সুতারখলী ইউনিয়নে ৩ হাজার ৭ শত এর অধিক জেলে কার্ডের সুবিধাভোগীদের জনপ্রতি ৬০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও সেখানে দেয়া হয়েছে ৪২কেজি, ৪৪কেজি, ৪৫কেজি সর্বোচ্চ ৪৮ কেজি করে। চাল বিতরনের ব্যাপারে ট্যাগ অফিসার জনস্বাস্থ্য সহকারী উপ-প্রকৌশলী মাহাবুব হোসেন এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান।
জেলা মৎস কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, জনপ্রতি ৫৬ কেজি করে চাল বিতরনের নিয়ম রয়েছে। এর কম বিতরন করা যাবেনা। এ নিয়ম কোথাও মানা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য জাহিদ হাসান ফকির বলেন, আটককৃত চালের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার প্রতিপক্ষরা আমার মানসম্মান খুন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে এবং আমার ওয়ার্ডে কাউকেই চাল পরিমানে কম দেয়া হয়নি।
এব্যাপারে থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) উজ্জল কুমার দত্ত বলেন, আমাদের অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। অভিযান শেষ হলে সকলকে জানানো হবে।