/ বৃষ্টির প্রভাবে তেরখাদায় সবজি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা

বৃষ্টির প্রভাবে তেরখাদায় সবজি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা

রাসেল আহমেদ, তেরখাদা(খুলনা): টানা বৃষ্টিপাতের প্রভাবে তেরখাদা উপজেলায় কাঁচা সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা। মাত্র এক, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে ডিমের দামেও এসেছে অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতি, যা জনসাধারণকে পড়িয়েছে চরম বিপাকে।

গতকাল বুধবার উপজেলার কাটেঙ্গা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি সবজির দামই বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বর্তমানে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, করলা ৭০-৮৫ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৬৫ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, পেপে ৩০-৪০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা এবং শসা ৮০-৯০ টাকা কেজিতে। একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

ডিমের দাম হালি প্রতি দাঁড়িয়েছে ৪৪-৪৬ টাকায়, যেখানে এক সপ্তাহ আগে তা ছিল ৩৫-৪০ টাকার মধ্যে। ক্রেতারা বলছেন, তাদের নিয়মিত বাজেট এখন আর টিকছে না। অনেকেই বাজার থেকে ফিরে আসছেন প্রয়োজনীয় পণ্য না কিনেই। এক কলেজ শিক্ষার্থীর মন্তব্য, “টানা বৃষ্টিতে কিছুটা দাম বাড়তেই পারে, তবে ডিমের বাজারে এমন অস্থিরতা অস্বাভাবিক। বাজার ব্যবস্থাপনায় নজরদারির ঘাটতি এখানেই স্পষ্ট।”

অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন, টানা বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মাঠে গিয়ে সবজি তুলতে পারছেন না, যার ফলে বাজারে সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারেই। ডিমের দাম বাড়ার পেছনে তারা দায়ী করছেন বড় ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেট’কে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে অতিরিক্ত লাভের আশায় দাম বাড়ায়, তাহলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং প্রয়োাজনে তা আরও কঠোর করা হবে বলেও জানানো হয়েছে স্থানীয়দের আশঙ্কা, বাজারে যথাযথ নজরদারি না থাকলে সামনের দিনগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।