এলজিইডি’র ৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার সেতু নির্মাণ কাজ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ শুধু ২৮টি পাইল করেই প্রায় ৭০ শতাংশ বিল পরিশোধ করা হলো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। খুলনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতুর কাজে এমন চিত্র মিলেছে। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের দাবি কাজের চেয়ে কম টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
খুলনার বটিয়াঘাটা জেলার নাইনখালী নদীর ওপর নির্মিত সেনকেমারী প্রাইমারী স্কুল-গায়ের হাট সুরখালী সড়কে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প এলাকা গতকাল সরোজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, সেখানের শুধুমাত্র পাইলিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অথচ এলজিইডির এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। অথচ কাজটির মোট চুক্তিমূল্য পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, চুক্তি অনুযায়ী যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হবে তার অন্তত ৮০ শতাংশ বিল পরিশোধ করা যেতে পারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কাজটিতে শুধুমাত্র পাইল করেই দুই তৃতীয়াংশ বিল পরিশোধের বিষয়টি অনিয়মের দাবি রাখে। কেননা এখনও ব্রীজের মূল কাজ এবং এ্যাপ্রোচ রোডসহ অনেক কাজই বাকী।
অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সেতুটি নির্মাণের সাথে সাথেই দু’পাশের সড়ক নির্মাণও জরুরি। কেননা, শুধুমাত্র সেতু নির্মাণ করা হলেও দু’পাশে রয়েছে কাঁচা রাস্তা। যা পাকা না করা হলে সেতুটি জনগণের খুব বেশি কাজে আসবে না।
অবশ্য বিল পরিশোধের বিষয়ে খুলনার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিসুজ্জামান বলেন, তিনি থাকতে কাউকে অনৈতিক সুযোগ দেয়া হবে না। এর আগেও তিনি যশোরসহ যেসব স্থানে কর্মরত ছিলেন, সেসব স্থানে প্রয়োজনে খোঁজ নিয়ে জানা যেতে পারে যে, তিনি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলেন কি না। সংশ্লিষ্ট কাজের ব্যাপারে তিনি বলেন, যেটুকু কাজ হয়েছে ঠিক ততটুকুই বিল দেয়া হয়েছে।
এলজিইডি’র বটিয়াঘাটার উপ-সহকারী প্রকৌশলী বি,এম, ফরিদুজ্জামান বলেন, পাইল হওয়া মানেই ব্রীজের সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সুতরাং ঠিকাদারকে বেশি বিল দেয়া হয়নি।
বাগেরহাটের বাসাবাটি কে বি রোডস্থ এসকেআই+এমএসএ(জেভি) নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ইদ্রিস আলী বলেন, ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর শুরু হওয়া উক্ত সেতুর কাজটি নির্দিষ্ট সময়ে অর্থাৎ আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যে কাজ করা হয়েছে তার মূল্য চার কোটি টাকা। কিন্তু তাকে বিল পরিশোধ করা হয়েছে তিন কোটি ৭০ লাখ। অর্থাৎ এখনও তার পাওনা রয়েছে ৩০ লাখ টাকা। সুতরাং যারা অভিযোগ করছে তাদের অভিযোগ সঠিক নয়।