বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সুন্দরবনের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সুন্দরবনের শেলার চর, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শেলার চর ফরেস্ট অফিসের পাশে পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া একটি হরিণ শাবককে উদ্ধার করেছে বনরক্ষীরা।
চাঁদপাই রেঞ্জের বন বিভাগ জানায়, বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকায় এবং সুন্দরবনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। তীব্র বাতাস ও মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সুন্দরবনের নদ-নদীর পানি বিপজ্জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সুন্দরবনের মেলার চর, করমজলসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে বনের বাসিন্দা বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী।
শেলার চর টহল ফাড়ির বন প্রহরী মোঃ মমিন শরিফ বলেন, “সাগরে লঘুচাপের কারণে সকাল ১০টার দিকে প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। তখন আমরা অফিসে অবস্থান করছিলাম। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, পানিতে কিছু একটা ভেসে যাচ্ছে। তিনজন বনকর্মী মিলে দ্রুত ছুটে গিয়ে দেখি, একটি হরিণ শাবক পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। আমরা সেটিকে উদ্ধার করি। শাবকটি অনেকক্ষণ পানিতে সাঁতার কাটায় দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে শাবকটিকে অফিসে এনে সুস্থ করার চেষ্টা চলছে। সুস্থ হলে শাবকটিকে পুনরায় বনে অবমুক্ত করা হবে।”
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, লঘুচাপের ফলে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা বর্তমানে বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে শেলার চর, করমজলসহ বেশ কিছু এলাকায় বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রাণীরা খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে বিপাকে পড়ছে।
বন বিভাগের টহলদলগুলোকে সুন্দরবনের প্লাবিত এলাকায় বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বিশেষ সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।