স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার তামান্না টাওয়ারের মালিক, যশোরের সদর থানাধীন পূর্ব বারান্দি এলাকার বর্তমান বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ওসি ডিবি মো: আবুল হাসেম খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে মামলা হয়েছে।
দুদকের যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন, দুদকের সহকারী পরিচালক মোহা: মোশাররফ হোসেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, অবসরপ্রাপ্ত ওসি আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৯ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং ৩২ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৮ টাকা মূল্যমানের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুদক, সাজেকা, যশোরের গতকালকের ৮৭৯ নম্বর স্মারকে নথিভুক্ত ওই মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মো: আবুল হাসেম খান ১৯৭৭ সালে এসএসসি পাশ করার পর পুলিশ বিভাগে কনষ্টেবল হিসেবে যোগদান করে ১৯৮৩ সালে সাব ইন্সপেক্টর ও ১৯৯৭ সালে পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে চাকরী করত: ২০১৮ সালে অবসরগ্রহণ করেন। তার বিরুদ্ধে আনীত জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের উপর দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা থেকে পরিচারিত প্রাথমিক অনুসন্ধান পরিচালনা করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় তার প্রতি সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়। যার আলোকে তিনি ২০২০ সালের ২ জুন সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণ করে দুদকে দাখিল করেন। তার দেয়া সম্পদ বিবরণীর সাথে বাস্তবে অমিল পাওয়া যায় বলে উক্ত মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে, গতরাতে অবসরপ্রাপ্ত আবুল হাসেম খান মোবাইলে পূর্বাঞ্চলকে বলেন, তিনি এখন একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যবসা করতে কোটি কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। তার ফার্মগুলোতে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। সুতরাং ৩৩ লাখ টাকা খুব বেশি নয়। তিনি পারিবারিকভাবে প্রতিষ্ঠিত উল্লেখ করে বলেন, যার ব্যবসা করতে কোটি কোটি টাকা প্রয়োজন হয় তার ৩৩ লাখ টাকা গোপন করার কোন প্রয়োজন নেই।