/ “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে”: অভিযোগ জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের

“আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে”: অভিযোগ জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “দেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ও পুনরুত্থানের চক্রান্ত দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।”


মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে খুলনার খানজাহান আলী থানায় ফুলতলা-ডুমুরিয়া নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, “সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের উসকে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।”


শোকের সময়েও ‘নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা’
সম্প্রতি বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে যখন জাতি শোক পালন করছে, ঠিক সে সময় ‘নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করেন পরওয়ার। তিনি বলেন, “এ ধরনের পরিস্থিতি প্রতিহত করতে সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”


তিনি ছাত্র-জনতাকে ১৯৮৪ সালের ২৪ জুলাইয়ের ‘জনতার অভ্যুত্থান’-এর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে পরওয়ার বলেন, “দেশে হুন্ডা, গুন্ডা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও কেন্দ্র দখলের সংস্কৃতি বন্ধ করতে চাইলে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন চালু করতে হবে।”
তিনি বলেন, “বিশ্বের ৯২টি দেশে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়। আমাদের দেশেও এখন সময় এসেছে এই ব্যবস্থা চালুর।”

জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “ন্যায়-ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার বিজয় হলে দেশে আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।”
তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী, গণমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে মানুষের আস্থার জায়গা হয়ে উঠছে। আমরা আমাদের কর্মীদের ১২ মাসই নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তুলি, যাতে তারা দায়িত্বশীল নেতৃত্বে উঠে আসতে পারে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচনী আসন কমিটির আহ্বায়ক মুন্সী মিজানুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চলের নির্বাচন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাস্টার শফিকুল আলম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুন্সী মইনুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, যুব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, আইন সম্পাদক এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যা, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আবু ইউসুফ ফকির, ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দসহ আরও অনেকে।