# কর্মবিরতির বিকল্প কর্মসূচি দাবি নাগরিকদের

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং খুলনা মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেকের অনুরোধে টানা চারদিনের মাথায় খুলনার চিকিৎসকদের ধর্মঘটের আপাতত অবসান হলো। তবে ক্লিনিকে হামলা করে ডাক্তারকে লাঞ্ছিত করার মামলায় রোগীর পিতাকে গ্রেফতার ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার বা চূড়ান্ত রিপোর্ট না দেয়া হলে আগামী সাত দিন পর আবারো নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে বিএমএ নেতারা জানিয়েছেন।
এদিকে, খুলনার বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধন থেকে কর্মবিরতির বিকল্প কর্মসূচি গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। এসময় বক্তারা বলেন, খুলনার মানুষ আর কোনদিন ডাক্তারদের ধর্মঘট দেখতে চায় না। কর্মবিরতির বাইরেও প্রতিবাদের আরও অনেক ভাষা আছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, রোগীদের জিম্মি করে, চিকিৎসা বন্ধ করে, মানুষের মৃত্যু নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। তারা হক নার্সিং হোমের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা হওয়ায় দু’টি বিষয়কেই গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দায়ীদের মুখোশ উম্মোচনের দাবি জানান।
খুলনার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অচলাবস্থা নিরসনে ঢাকা থেকে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল আসার পর দু’দফায় বৈঠকেও কোন ফল না হওয়ায় গতকাল শনিবার সকালে বিএমএ ভবনে নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর সভাপতি। সেখানে ঘন্টাব্যাপী বৈঠকের পর বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেস ব্রিফিং করে আ’লীগ নেতা এসএম কামাল হোসেন ও আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনা বিএমএ সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম পৃথক পৃথকভাবে কথা বলেন।
আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল বলেন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের একজন স্বনামধন্য ডাক্তারকে নিয়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার পর তার সহযোদ্ধারা কর্মবিরতি পালন করেন। যে ঘটনাটি পুলিশের একজন এএসআই ঘটিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সিটি মেয়র ও তিনি বিএমএ নেতাদের সাথে কথা বলেছেন। বিএমএ’র দাবির প্রতিও তারা শতভাগ একাত্মতা ও সহানুভুতি প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবির বিষয়টি নিয়ে সিটি মেয়র প্রশাসনের সাথেও কথা বলেছেন। তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে একমত হয়েছেন। এজন্য বিএমএ নেতাদের তারা অনুরোধ জানালে তারা এক সপ্তাহের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার জন্য একমত হয়েছেন।
সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা থেকে আগত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি তিনি প্রশাসনের সাথেও কথা বলেছেন। ইতোমধ্যে উক্ত চিকিৎসক ও রোগীর পরিবারের সাথে আলোচনার এক পর্যায়ে উভয় উভয়কে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তার পরেও যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সুতরাং তাদের অনুরোধে বিএমএ নেতারা সাত দিনের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তাদের এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতেই বিএমএ সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এখন থেকেই সাত দিনের জন্য ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করা হলো। সিটি মেয়র ও আ’লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুরোধে বিএমএ, বিপিএমপিএ ও ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে এই সাতদিনের মধ্যে যদি সংশ্লিষ্ট পুলিশকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও আ’লীগ নেতা এসএম কামালের সমর্থনে আবারো বিএমএ’র সাধারণ সভা ডেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, অপরাধীকে শাস্তি না দেয়া আর একটি অপরাধ।
তবে বেলা সাড়ে ১১টার প্রেস ব্রিফিংয়ে সন্ধ্যা সাতটায় সাধারণ সভা ডেকে ধর্মঘট স্থগিত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হলেও পরে বিএমএ নির্বাহী কমিটির সভা ডেকেই ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য সন্ধ্যা সাতটার সাধারণ সভা আর হয়নি।
বিকেলে খুলনা বিএমএ’র প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ডা: সাইফুল্লাহ মানসুর প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামালের অনুরোধে তাদের সাথে খুলনা বিএমএ, বিপিএমপিএ ও বিপিএইচসিডিওএ এর এক যৌথ সভা খুলনা বিএমএ ভবনের কাজী আজহারুল হক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএমএ খুলনা শাখার পক্ষ হতে ডা. নিশাত আব্দুল্লাহকে নির্যাতনের যাবতীয় ঘটনা বর্ণনা করা হয়। বিএমএ নেতৃবৃন্দ নির্যাতনকারী এএসআই নাঈম এবং তার স্ত্রীসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার এবং এই ঘটনাকে থামাচাপা দেওয়ার জন্য উক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অপারেশন চলাকালীন অপারেশন থিয়েটারে একজন সিনিয়র সার্জনের উপর এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে খুলনা বিএমএ’র সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল। তারা তৎক্ষনাৎ পুলিশ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত এএসআই নাঈম এবং তার স্ত্রীসহ অন্যান্য আসামীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন। তাদের অনুরোধে এবং জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দু’দফা শর্তে আগামী সাত কর্মদিবসের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়।
দু’দফা শর্তের মধ্যে রয়েছে, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ-এর দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী এএসআই নাঈম, তার স্ত্রী ও অজ্ঞাত অন্যান্য আসামীদের সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার করে চার্জসিট দাখিল করে বিচারে সোপর্দ করতে হবে এবং ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহার/ফাইনাল রির্পোট প্রদান করতে হবে।
পরে বিএমএ, বিপিএমপিএ ও বিপিএইচসিডিওএ এর যৌথ সভায় কর্মবিরতি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। এছাড়া খুলনা বিএমএ’র কর্মস্থলের নিরাপত্তা, কৃত্য-পেশাভিত্তিক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য রোধসহ বিভিন্ন দাবিতে চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আগামী ১১ মার্চ শনিবারের মধ্যে আসামী এএসআই নাঈম গ্রেফতার হয়ে বিচারের আওতায় না আসলে এবং শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহার/ফাইনাল রির্পোট প্রদান করা না হলে আগামী ১১ মার্চ খুলনা বিএমএ, বিপিএমপিএ ও বিপিএইচসিডিওএ এর এক যৌথ সভা ডেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
নাগরিকদের প্রতিবাদ ঃ অপরদিকে, চিকিৎসক ও রোগীর অভিভাবকের মধ্যকার দ্বন্দ্বের জের ধরে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে সৃষ্ট রোগী ভোগান্তির নিরসনের দাবিতে খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ গতকাল শনিবার দুপুর একটায় নগরীর শিববাড়ী মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে ব্যানার নিয়ে কর্মসূচিতে যোগদান করে নতুনতারা সমাজকল্যাণ ও সাহিত্য সংস্থা এবং খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (কেডিএস)। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, ভুক্তভোগী জনগণ স্বর্তস্ফূর্তভাবে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এক ঘণ্টারও অধিকাল চলমান এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার।
সংগঠনের অন্যতম সদস্য এস এম দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) খুলনা মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান আহমেদ মোল্লা, শিক্ষকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, মহানগ জাপা নেতা শাহ্ মোঃ লায়েক উল্লাহ, নতুনতারা কেন্দ্রীয় মহাসচিব কবি শেখ আবু আসলাম বাবু, খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান, নতুনতারা সমাজকল্যাণ ও সাহিত্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক কবি সাইফুর মিনা, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার মোঃ আবু তাহের, খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (কেডিএস) প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সালাম শিমুল, নজরুল গবেষক কবি সৈয়দ আলী হাকিম, বঙ্গকথা’র প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আসগর হোসেন, সিপিবি নেতা এস এম চন্দন, যুব ইউনিয়নের মহানগর সভাপতি আফজাল হোসেন রাজু, খোদেজা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা খ ম শাহীন, এপিপি এ্যাড. মেহেদী হাসান, নতুনতারা’র এফ এম মনিরুজ্জামান, এ্যাড. মেহেদী ইনছার, দেশ আহমেদ রাজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মহিউদ্দিন, মোঃ জাহাঙ্গীর শিকদার, সিদ্দিকীয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, কলামিস্ট রিয়াদ হোসেন, খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (কেডিএস)’র শিশির মল্লিক, ইঞ্জিঃ মাসুম পারভেজ, ইঞ্জিঃ মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন, এ্যাড. মঈনুল ইসলাম জীবন, শেখ নীরব, কাজী আব্দুল ওয়াহাব, কাজী বেলাল সাইদ, সঞ্চিতা রায়, নিরুপমা গোলদার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চিকিৎসক এবং রোগীর অভিভাবকের মধ্যকার দ্বন্দ্ব, হামলার অভিযোগ, পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের এবং এর জের ধরে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে বিনা চিকিৎসায় লাশের পর লাশ, মুমূর্ষু রোগীদের আর্তনাদ, চিকিৎসা প্রত্যাশিদের দুর্ভোগ খুলনার আকাশ-বাতাস ভারী করে তুলেছে। ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে সমগ্র জনগণকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা মানবতাবিরোধী, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন। বক্তারা বলেন, চিকিৎসকদের দাবি-দাওয়ার পক্ষে আন্দোলন সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আন্দোলনের অনেক ভাষা ও পদ্ধতি রয়েছে। সেটি না করে সবচেয়ে স্পর্শকাতর একটি খাত চিকিৎসা খাতে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা কতটা যৌক্তিক সে প্রশ্নও তোলেন তারা। তারা জনতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণকারীদের দায়ভার কে নেবে ? বিষয়টি অত্যন্ত নির্মম ও অমানবিক বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
বক্তারা বলেন, জনগণের অর্থে বেতনভাতা-বিলাসিতা-প্রসাদসম অট্টালিকার ব্যবস্থা হয়। অথচ জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয় না। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এমন অবিবেচনাপ্রসুত কর্মসূচি কতটা আইনসম্মত প্রশ্ন তুলে বক্তারা বলেন, এহেন কর্মকা- আইন, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার খর্ব করার অধিকার কারও নেই। এ ব্যাপারে বক্তারা সরকার-প্রশাসনের উদাসীনতাকেও দায়ী করেন। সমাবেশে উভয়পক্ষের অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
একইসাথে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে দীর্ঘদিনের যে বাণিজ্য চলছে তা’ বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।