বৈরী আবহাওয়ার কারণে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন হাওর পাড়ের লাখো কৃষক। মেঘ দেখলেই বুকটা উঠছে তাদের। কীভাবে দ্রুত ধানে কেটে ঘরে আনবেন তা নিয়ে ব্যস্ত তারা। লাখ লাখ কৃষকের ধ্যান-জ্ঞান সবই এখন হাওরকে ঘিরেই।সিলেট কৃষি বিভাগ জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেটের চার জেলায় মোট ৪১ হাজার ৬২৭ হেক্টর জমির বোরো ধান কাটা হয়। এর মধ্যে সুনামগঞ্জে ২২ হাজার ৩৮৮ হেক্টর কাটা হয়েছে। এবার সিলেটে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ২০৫ হেক্টরে বোরা আবাদ হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার আবারও যাদুকাটা, বৌলাই পাঠলাই ও সুরমা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার ঘোষ বলেন, পানি বাড়ায় আমরা চিন্তিত। অবশ্য বাঁধ রক্ষায় লোকজন প্রস্তুত রয়েছে। সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাদুকাটা ও পাটনই নদীর পানিও বাড়ছে।নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন শফিকুরনাম-পরিচয় পরিবর্তন করে যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন শফিকুর
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, কৃষকরা দ্রুত ধান কেটে নিচ্ছেন। ৮০ ভাগ ধান পাকলেই তা কেটে ঘরে তোলার কথা বলা হয়েছে।গত ২ এপ্রিল থেকে পর পর কয়েকদিন পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যায়। এতে কৃষকদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়। এদিকে ফসলহারা কৃষক ও ভাঙা বাঁধ দেখতে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক শনিবার দিরাই আসছেন। পরে তার সুনামগঞ্জ সদরের বাহাদুরপুরে ধান কাটা উৎসবে যোগ দেওয়ার কথা।