# যশোরের সিভিল সার্জন ডা: শাহীন আবু নাসেরের পরিচালক

স্টাফ রিপোর্টার ঃ যোগদানের ছয়মাসের মাথায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি হলেন খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: আব্দুস শাকুর।
একইসাথে খুলনার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক(চ:দা:) হিসেবে পদায়ন হলেন একই দপ্তরের উপপরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব(পার-২) জাকিয়া পারভীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন করা হয়। উক্ত প্রজ্ঞাপনের আলোকে ইতোমধ্যেই বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক(চ:দা:) হিসেবে ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ তার কার্যক্রম শুরু করেছেন। সেই সাথে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: আব্দুস শাকুর হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের অধ্যাপক ডা: আব্দুল কাদেরের কাছে দায়িত্বভার অর্পন করে খুলনা ত্যাগ করেছেন।
এদিকে, একই আদেশে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক(চ:দা:) হিসেবে যশোরের সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু শাহীনকে বদলী করা হয়। যদিও তিনি এখনও আবু নাসের হাসপাতালে যোগদান করেননি। গতরাতে তিনি পূর্বাঞ্চলকে বলেন, যশোর থেকে তিনি এখনও ছাড়পত্র গ্রহণ করেননি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে যে কোন দিন তিনি যশোর থেকে ছাড়পত্র নিয়ে খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে যোগদান করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে গত বছর ৫ জুলাই খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন ডা: মো: আব্দুস শাকুর। তবে তিনি এই ছয় মাসে তার জন্য তৈরিকৃত আবাসিক ভবনে না উঠে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনে অবস্থান করেন। সর্বশেষ এ আদেশে তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি(বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হলো।
আবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: জসিম উদ্দিন হাওলাদারের অবসরজনিত কারণে ওই পদটি খালি হলে গত ৪ নভেম্বর একই দপ্তরের উপপরিচালক ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ ওইদিন থেকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। অবশ্য তিনি যখন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তার আগে থেকেই তিনি খুলনা জেনারেল হাসপাতালের বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু এখনও ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি আলোর মুখ দেখেনি। যদিও সংশ্লিষ্ট ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে এবং ওই মামলার প্রধান আসামী মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট(ল্যাব:) প্রকাশ কুমার দাস বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।