দেশের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম হচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণ।চলতি বছরের জুন মাসেই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ও বন্যার কারণে কাজের ব্যাঘাত ঘটায় পঞ্চম দফায় আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে এই প্রকল্পের মেয়াদ।

সেতু বিভাগ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯৩ শতাংশ। আগামী বছরের জুনেই সেতুর মূল কাজ শেষ হওয়ার আশা রয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনে চলতি বছরের শুরুতে ব্যয় বাড়ানো ছাড়াই মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠায় সেতু বিভাগ। এর ভিত্তিতে প্রস্তাবের যৌক্তিকতা যাচাই করতে ফেব্রুয়ারিতে সেতু পরিদর্শনে যায় পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।এর ভিত্তিতে মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে আইএমইডি।

কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ হয়ে চূড়ান্ত প্রস্তাব যায় পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে। চলতি সপ্তাহে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে মেয়াদ বাড়ানোর ওই প্রস্তাবে সই করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

গত রোববার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর স্ট্রাকচারের পুরো কাজ শেষ হয়েছে। মাওয়া প্রান্তে ভায়াডাক্টের সর্বশেষ গার্ডার স্থাপনের মধ্য দিয়ে স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সেতু যান চলাচলে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে।২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।

সেতু বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। নদীশাসনের অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ।

বেশ কয়েক দফায় এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গে ব্যয়ও বাড়ানো হয়।জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ২০০৭ সালের ২৪ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প প্রথম অনুমোদন পেলেও পরে তা বেড়ে এখন করা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।সর্বশেষ মেয়াদ বৃদ্ধি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।