আষাঢ়ের টানা বর্ষণে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে ঝিনাইদহ জেলার জনজীবন। গেল কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে জেলা শহরসহ উপজেলার বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ এবং কৃষকরা।
বুধবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে ঝিনাইদহ শহরের সদর হাসপাতাল এলাকা, বাঘা-যতীন সড়ক, পোস্ট অফিস মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পানি জমে যায়। রিকশা, ইজিবাইক ও অন্যান্য হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারছে না, ফলে অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জেলার হরিণাকুণ্ডু, কালীগঞ্জ, মহেশপুর, কোটচাঁদপুর ও শৈলকুপা উপজেলার গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও জমে থাকা পানি মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলের জমিতে ঢুকে পড়েছে।
বৃষ্টির ফলে মাঠে পানি জমে যাওয়ায় আগাম রোপণ করা আমন ধান ও বিভিন্ন সবজি চাষ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, যদি দ্রুত পানি নেমে না যায়, তবে মৌসুমের শুরুতেই ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।
এক ইজিবাইক চালক মতিয়ার রহমান বলেন,“কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রী নেই বললেই চলে। খাওন-পান করাই মুশকিল হয়ে গেছে।”
ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন,“জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ থেমে আছে। আমরা সাময়িকভাবে পানি নিষ্কাশনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে জলাবদ্ধতা আরও বাড়তে পারে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিতে পারে।