সিরিয়ার মধ্যাঞ্চল হামায় বিমান থেকে নিক্ষেপ করা ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একই পরিবারে ৪ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে বলেও জানানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মধ্যম সানা’র বরাতে জানা যায়, শুক্রবার ভোর হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ওই হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই সময় প্রতিবেশী লেবাননের আকাশে উড়ছিল ইসরাইলি যুদ্ধবিমান। সামরিক সূত্র আরও জানায়, স্থানীয় সময় রাত ৪টায় লেবাননের ত্রিপোলী শহরের দিক থেকে একগুচ্ছ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আগ্রাসন চালায় ইসরাইলি শত্রুরা। হামার গভর্নরের ভবনসহ আরও কিছু সরকারি স্থাপনা লক্ষ্য করে তারা হামলা চালায়। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।

গেল কয়েক বছর ধরে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলার কথা কদাচিৎ স্বীকার করে ইসরাইল। অধিকাংশ সময় হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্যই করে না। ইরান এবং তাদের লেবাননের মিত্র হিজবুল্লাহ সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সামরিক সরঞ্জাম এবং যোদ্ধা দিয়ে সহযোগিতা করে।

সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইট জানায়, ২০২০ সালে সিরিয়ার ১৩৫টি স্থাপনা লক্ষ্য করে রেকর্ড ৩৯ বার হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। অস্ত্রের গুদাম, সামরিক বহর এবং তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।

১৩ জানুয়ারি সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরান সমর্থিত বাহিনীর অস্ত্রের গুদাম এবং তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে অব্যাহতভাবে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ৫৭ যোদ্ধা নিহত হয়। আহত হয় অর্ধশতের বেশি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ নেয়ার পর সিরিয়ায় ইসরাইলের প্রথম হামলা এটি। সিরিয়ায় হামলার পেছনে ইসরায়েলের যুক্তি, ইরান এবং হিজবুল্লাহ তেল আবিবের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।