/ ঈদের ছুটিতে খুলনার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়

ঈদের ছুটিতে খুলনার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়

খুলনার যেসব বিনোদনকেন্দ্র রয়েছে সেগুলোর দর্শনীয় ফি এবং রাইড ফি এতো বেশি যে, নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন সেসব কেন্দ্রগুলো এড়িয়ে চলেন। এজন্য একটু মুক্ত হাওয়ায় কিছুট সময় কাটাতে এসব বিনা টাকার স্থানগুলোতেই ভিড় বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এভাবেই নিত্য-নতুন বিনোদনকেন্দ্র গড়ে উঠছে খুলনায়।
বিনোদনকেন্দ্রের অভাবে খুলনার ভ্রমণপিপাসুরা নিত্য-নতুন বিনোদনকেন্দ্র খুঁজে নিচ্ছেন। ঈদ-উল আযহার লম্বা ছুটিতে এমনটি দেখা গেছে। ঈদের ছুটিতে বিশেষ করে ঈদের দিন বিকেল থেকে শুরু করে ঈদ পরবর্তী কয়েকদিন খুলনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রূপসা, ভৈরবসহ নদী পাড় ও ফাঁকা জায়গাগুলো পরিণত হয়েছে একেকটি বিনোদনকেন্দ্রে।
খুলনার ৬ ও ৭ নম্বর ঘাটকেন্দ্রিক ভৈরব নদ তীরে অনেকদিন ধরেই ছুটির দিবসকেন্দ্রিক বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। এছাড়া উৎসবের বাইরেও যে কোন ছুটির দিনে সেখানে চলে জনসমাগম। পাশের বালুর মাঠে তাই নাগর দোলাসহ বিভিন্ন খেলনা/রাইড সামগ্রী নিয়ে বসেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা
নগরীর আর একটি বিনোদনকেন্দ্র রূপসা সেতুর দু’পাড়। ঈদের ছুটিতে সেখানেও দেখা যায় ব্যাপক ভিড়। কেউ পরিবারসহ আবার কেউ বন্ধু-বান্ধবসহ ঘুরতে যানন সেখানে।
বিনোদনকেন্দ্রের আর একটি স্পট হচ্ছে রূপসা তীরের খুলনার রিভারভিউ পার্ক। যেটি আগে ছিল শেখ রাসেল ইকো পার্ক। খুলনা জেলা প্রশাসন পরিচালিত ওই পার্কেটর দক্ষিণে কিছুদূর গিয়ে রূপসা ও কাজীবাছা নদীর সংযোগস্থলকে ঘিরেও গড়ে উঠেছে বিনোদনকেন্দ্র। যেটি এক সময় ছিল বটিয়াঘাটা ফেরিঘাট। নদীর ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বøক কেন্দ্রিক প্রতিদিন বিকেলে সেখানে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। যেটি শ্মশান পাড় হিসেবে পরিচিত।
বটিয়াঘটা থেকে দাকোপের দিতে যাওয়ার পথে নদীর পাড়েও প্রতিদিন বিকেলে বিশেষ করে যে কোন ছুটির দিনে প্রচুর মানষের ভিড় জমে। যেখানে আগে থেকেই ছোটখাটো ফুডকোড ও চা-কফির স্টল গড়ে উঠেছে।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা থেকে পশ্চিমে গিয়ে খালাশী মোড়ের কাছাকাছি গড়ে ওঠা কেডিএ’র ময়ূরী আবাসিক এলাকাটিও এখন এক প্রকার বিনোদনকেন্দ্র। সেখানে প্লটিং করে সড়কগুলো পিচ ঢালাই করা হলেও এখনও বাড়ি তৈরি ও বসবাস শুরু হয়নি। এজন্য মুক্ত বাতাসে ঘুরতে যান দর্শনার্থীরা। অনেকসময় ইউটিউবারদের স্যুটিং হিসেবেও ব্যবহৃত হয় জায়গাটি।
এর বাইরেও নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক, জাতিসংঘ শিশুপার্ক, সোনাডাঙ্গা সোলার পার্ক, সোনাডাঙ্গা ১ নম্বর আবাসিক এলাকা শিশুপার্ক, নিরালা শিশুপার্ক, ফরেষ্ট ঘাটসহ অনেক জায়গায় মানুষ ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ায় অনেকটা ঘোষিত/অঘোষিত বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।