উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় ১৬টি জেলায় ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ২৬৫ কিলোমিটার পশ্চিমে, মোংলা থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে এবং সাগরে নৌযান চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
নিম্নচাপ ও অমাবস্যা তিথির যুগপৎ প্রভাবে উপকূলীয় জেলা এবং চরাঞ্চলে ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ অন্তত ১৬টি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, “নিম্নচাপটি বিকেলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এতে দুর্বল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
