কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোল নিয়ে প্রশ্ন করায় বিব্রত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে আর প্রশ্ন না করতে সাংবাদিকদের বারণ করেন তিনি।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বিশেষ সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, এই প্রশ্নটি আর করবেন না। তিনি আদালতে আবেদন করেছেন, আদালতই বিষয়টি ঠিক করবেন। এটি কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়, এটি দুর্নীতির মামলা। দুর্নীতির মামলা যেটি হওয়ার সেটিই হবে। আদালত যেটি সিদ্ধান্ত নেয়ার– নেবে। এটি আওয়ামী লীগের হাতে নেই, শেখ হাসিনার হাতে নেই। আমাদের কারও কাছে নেই, আমাদের এখতিয়ারে নেই। কাজেই একই প্রশ্ন বারবার করে বিব্রত করবেন না। এই প্রশ্নের জবাব আমি দেব না।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে তার কারাজীবনের দুই বছর কেটে গেছে। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত বছরের ১ এপ্রিল মাসে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার ছয় স্বজন তাকে হাসপাতালে দেখে আসেন। বেরিয়ে এসে তারা জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তারা বিদেশ নিয়ে যেতে চান। এ জন্য প্যারোলে মুক্তি দিলে তাতে তাদের আপত্তি থাকবে না। অবশ্য প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে বিএনপি নেতারা দ্বিধাবিভক্ত। খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে বুধবার আবারও আবেদন করেছে বিএনপি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাজাহান খান, আবদুর রহমান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিভাগীয় বিভিন্ন জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা।