পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবি বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া ১১২ টি মূল্যবান উপহার নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন। এসবের মূল্য পাকিস্তানি মূদ্রায় ১৪ কোটি ২২ লাখ টাকা।পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, এসব উপহার পাওয়ার বদলে তোশাখানায় (পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় উপহার ভাণ্ডার) ইমরান খান হয়তো কোনো পয়সা দেননি বা ৩ কোটি ৮০ হাজার রুপি দিয়েছেন।এপিপির কাছে জমা হওয়া সরকারি নথিপত্র প্রকাশ হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এক পয়সাও জমা না দিয়ে ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা ৫২টি উপহার রেখে দিয়েছেন। এসবে মূল্য ৮ লাখ ২০০ রুপি।ইমরান খান ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এসব উপহার পান। তবে ইমরান খানের শাসনামলে তা গোপন ছিল।তোশাখানা হলো পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনস্থ একটি বিভাগ। এটি পাকিস্তানের শাসক, সংসদ সদস্য এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বিদেশি সরকার, রাষ্ট্র প্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে শুভেচ্ছামূলক হিসেবে যেসব মূল্যবান উপহার পান তার রেকর্ড রাখে।তৎকালীন সরকার এমন অবস্থান গ্রহণ করেছিল যে, তোশাখানা সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিঘ্নিত হবে।তবে ক্ষমতার আসার পর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ অভিযোগ করেছেন, ইমরান তোশাখানার উপহার দুবাইতে খান ১৪ কোটি রুপিতে বিক্রি করেছেন।শেহবাজ খান জানান, ইমরান খান যেসব দামি উপহার বিক্রি করেছেন তার মধ্যে রয়েছে হীরার গহনার সেট, ব্রেসলেট এবং হাত ঘড়ি।এদিকে ইতোমধ্যে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। অভিযোগ, ইমরান ক্ষমতায় আসার শুরুর দিকে একটি বিলাসবহুল নেকলেস উপহার হিসেবে পান। সেটি রাষ্ট্রীয় উপহার ভাণ্ডারে জমা না দিয়ে এক জুয়েলার্সের কাছে ১৮ কোটি রুপিতে বিক্রি করে দিয়েছেন। বুধবার (১৩ এপ্রিল) পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।দেশটির আইন অনুসারে, দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা যেসব উপহার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাবেন তা তোশাখানায় জমা দিতে হবে। এটি না করলে উপহারের অর্ধেক দাম তোশাখানায় জমা দিলেও চলবে।