লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী ও কন্যার মানিলন্ডারিং (অর্থপাচার) নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আরেফিন আহসান মিঞা স্বাক্ষরিত সমস্ত নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, মামলার শুনানিকালে পাপুলের স্ত্রী-কন্যাকে দায়মুক্তি দেয়া নথিতে আরেক বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মশিউর রহমানের স্বাক্ষর না থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালত। পরে আদালত এ সংক্রান্ত সব নথি তলবের আদেশ দেন।

গত ২৮ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় কুয়েতে গ্রেফতার এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম এমপি এবং তার মেয়ে ওয়াফা ইসলাম হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ১০ ডিসেম্বর তাদের জামিন দেননি হাইকোর্ট। উল্টো ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আরিফুল ইসলাম মিয়াকে তলব করা হয়। পরে ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তারা।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক মো. আরেফিন আহসান মিঞার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এদিন আদালতের নজরে আনা হয়। যেখানে তিনি আসামিদের এফডিআর এবং ঋণের টাকার ক্ষেত্রে ‘অর্থপাচার প্রতীয়মান হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ কারণে আগামী ৪ জানুয়ারি তাকে (আরেফিন আহসান মিঞা) হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত। কোন কর্তৃত্ববলে তিনি ওই চিঠি দিয়েছেন সে ব্যাখ্যা উপ-পরিচালককে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে তিনি ব্যাখ্যা দাখিল করেন।

পাপুল কুয়েতে গ্রেফতার হওয়ার পর গত বছরের ১১ নভেম্বর তিনিসহ তার স্ত্রী এমপি সেলিনা, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক।