কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টায় মাঠে নামে দু’দল। প্রথমার্ধে কোন গোল না হলে গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যায় ফ্রান্স ও ডেনমার্ক। বিরতি থেকে ফিরে এমবাপের জোড়া গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। এই নিয়ে বিশ্বকাপের টানা তিনি ম্যাচে গোল করলেন ফ্রান্সের এই তারকা।ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ খেলতে থাকে দু’দল। ম্যাচের ১০ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় ফ্রান্স। ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়েও শট করতে পারেননি আদ্রিয়েন রাবিওট। ম্যাচের ১২ মিনিটে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। ফ্রি কিক থেকে সুযোগ তৈরী করলেও তা থেকে গোল করতে পারেনি তারা। এরপর ডেনমার্ককে বেশ চাপে রাখে ফ্রান্স।ম্যাচের ২০ মিনিটে কাউন্তার আটাক থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে ছুটে যান এমবাপ্পে। তাকে অবৈধ ভাবে বাঁধা দেওয়ার কারণে আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসনকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। এরপর একের পর এক আক্রমণে ডেনমার্কের ডিফেন্সকে ব্যস্ত রাখে গ্রিজম্যান-এমবাপেরা। ম্যাচের ২২ মিনিটে জিরুডকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন আন্দ্রেস কর্নলিয়াস।ম্যাচের ৩০ মিনিটে বাম দিক থেকে আক্রমণে যা এমবাপে। সেখান বাড়ানো বলে পোস্টে শট করেন জুলেস কুউন্ডে। কিন্তু তা ক্লিয়ার করে দেন জোয়াকিম এন্ডারসন। এরপর ম্যাচের ৩৩ মিনিটে বাই লাইন থেকে পোস্টে শট করলে তা রুখে দেন ডেনমার্কের গোলরক্ষক ক্যাসপার স্কিমিয়েল।ম্যাচের ৩৫ মিনিটে কাউন্টকার অ্যাটাক থেকে গোলের সুযোগ পায় ডেনমার্ক। ডি বক্সের ভেতর থেকে আন্দ্রেস কর্নলিয়াস শট করলেও তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডান দিক থেকে ডেম্বেলের বাড়ানো বলে শট করেন এমবাপ্পে। কিন্তু তা চলে যায় পোস্টের অনেক ওপর দিয়ে। এরপর আরও বেশ কিছু আক্রমণ করে দু’দল। শেষ পর্যন্ত কোন গোল না হলে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স ও ডেনমার্ক।বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ফ্রান্স। বেশ কিছু অ্যাটাক করে তারা। ম্যাচের ৬১ মিনিটে গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। থিও হার্নান্দেজের পাস থেকে ডেনমার্কের গোলরক্ষক ক্যাসপার স্কিমিয়েলকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার গোলে ম্যাচে প্রথম লিড পায় ফ্রান্স। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ডেনমার্ক।ম্যাচের ৬৮ মিনিটে গোল শোধ করে ডেনমার্ক। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করে বল ফ্রান্সের জালে জড়ান আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসন। তার গোলে ম্যাচে সমতা আনে ডেনমার্ক। সমতায় ফিরে আরও আক্রমণে ধার বাড়ায় তারা। ম্যাচের ৭২ মিনিটে বা দিক থেকে বাড়ানো বল গোলমুখে শট করেন ক্রিস্টান এরিকসন। কিন্তু দারুণ সেভে দলকে রক্ষা করেন হুগো লরিস।ম্যাচের ৭৮ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেন বদলি নামা কোম্যান। কিন্তু ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে তা প্রতিহত হয়। আবারও কর্নার পায় ফ্রান্স। কর্নার থেকে বল চলে যায় বা। দিকে। বাম প্রান্ত থেকে ক্রস করা বলে বাইসাইকেল শট করেন রাবিওট। কিন্তু তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। অন্যদিকে ম্যাচের ৮০ মিনিটে ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে শট করে মার্টিন ব্রাথওয়েট। সেটিও চলে যায় বাইর দিয়ে।ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। ডান দিক থেকে গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে বল জালে জড়ান এমবাপ্পে। ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় গোল। ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে ডেনমার্ক। কিন্তু আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি তারা।শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। গ্রুপ পর্বের টানা দুই ম্যাচ জিতে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করলো ফ্রান্স।