/ কক্সবাজারের দুই উপজেলায় দেড় হাজার মিটার বেড়িবাঁধ বিলীন

কক্সবাজারের দুই উপজেলায় দেড় হাজার মিটার বেড়িবাঁধ বিলীন

নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ১ হাজার ৬০০ মিটার বেড়িবাঁধ সাগরে বিলীন হয়েছে। এর মধ্যে মহেশখালীতে ৯০৫ মিটার ও কুতুবদিয়ায় ৬৯৬ মিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। গত কয়েক দিনে ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের কবলে পড়ে এসব বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবোর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ১ হাজার ৬০০ মিটার বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে মহেশখালীতে ৯০৫ মিটার ও কুতুবদিয়ায় ৬৯৬ মিটার বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষার মৌসুমে জোয়ারের পানি ঠেকাতে কুতুবদিয়ার ভাঙা বেড়িবাঁধে জিও টিউব বসানোর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অন্তত দুই কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। একইভাবে মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়নের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে এক কোটি টাকা। কতৃপক্ষের অনুমতি পেলে দ্রুত বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সরওয়ার কামাল বলেন, ষাইটপাড়ার অন্তত এক কিলোমিটার অরক্ষিত বেড়িবাঁধের পাশে এক হাজার পরিবার বসবাস করে। তিন দফা বৃষ্টিতে জোয়ারের পানি ঢুকে এসব পরিবারের বাড়িঘর, ফসলি জমি প্লাবিত করেছে। ১০টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। দ্রুত সংস্কার না করলে সামনে পূর্ণিমার জোয়ারের সময় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে আরও বিস্তীর্ণ এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়বে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণসহায়তা দেয়া হয়েছে জানিয়ে মহেশখালীর ইউএনও মো. হেদায়েত উল্যাহ। জোয়ারের পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য পাউবোকে অবহিত করা হয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও তাবালরচর এলাকায় জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। ভাঙা বেড়িবাঁধের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা উৎকণ্ঠায় আছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ৫শ’ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।