স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিভাগে বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৯৪৬ জনের।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ আটজনের মৃত্যু হয়েছে খুলনায়। বাকিদের মধ্যে যশোর ও কুষ্টিয়ায় সাতজন করে, ঝিনাইদহে চারজন, মেহেরপুরে তিনজন, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে মারা গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৯৬ হাজার ১৩১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৪৮৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭২ হাজার ৮৭২ জন।
৪ হাসপাতালে ৭ জনের মৃত্যু ঃ খুলনার চার হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে খুমেক করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে তিনজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে একজন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে একজন এবং গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়।
খুমেক করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার সবুর মোড়ল (৫৫), খালিশপুরের সেলিনা বেগম (৫০) ও চট্টগ্রামের সীতাকু-ের হাবিবুল্লাহ (৭০)।
শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল পশ্চিম এলাকার শামসুল হক (৭৬) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে রূপসার রাজাপুর এলাকার শেখ আবুল হোসেন (৫৬) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়।
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, নগরীর মুন্সিপাড়ার রহিমা খাতুন (৭২) ও ঝিনাইদহ সদরের মহিলা কলেজ রোডের মোসাম্মত রহিমা খাতুন (৬৪)।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজার এডমিন এন্ড এইচআর মো: হামিদুল ইসলাম খান জানান, সেখানের করোনা ইউনিটে ৬০ জন ভর্তি রয়েছেন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি।
খুমেক ল্যাবে শনাক্ত ৫৯ ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার ২৮৮টি নমুনা পরীক্ষার পর ৫৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ জানিয়েছেন। এর মধ্যে খুলনার ৫৩জন, বাগেরহাটের চারজন এবং যশোর ও নোয়াখালীর একজন রয়েছেন।