# খুলনা বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়ালো

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১৭ ঘন্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে প্রায় চার ঘন্টায় একজনের মৃত্যু। আবার করোনা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও কমছে না। গতকাল সকালেও এ হাসপাতালে উপসর্গসহ করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৪১জন ভর্তি ছিলেন।
এদিকে, বিগত দেড় বছরে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর মৃত্যু হয়েছে ৭২৬জনের।
সব মিলিয়ে খুলনায় করোনার প্রকোপ দিন দিন বেড়ে চলার ফলে করোনা হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিট এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এজন্য খুমেক হাসপাতালের আওতায় চলমান করোনা হাসপাতালকে ১৩০ বেডে উন্নীত করার পাশাপাশি খুলনা জেনারেল হাসপাতালকেও পূর্ণাঙ্গ করোনা হাসপাতাল করা হচ্ছে। এ হাসপাতালে ৭০ বেডের করোনা হাসপাতাল করার জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি হাতে নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এছাড়া খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রয়েছে ১৩০ বেড। অর্থাৎ ২শ’ বেডের করোনা হাসপাতাল থাকছে খুলনায়। এর বাইরেও খুমেক হাসপাতালের সাবেক গ্যাষ্ট্রোলজি বিভাগে আরও ২০টি বেডের সংস্থান করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: রবিউল হাসান জানিয়েছেন।
খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সূত্রটি বলছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিট থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত ১৭ ঘন্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, খুলনার লবণচরা এলাকার আছিয়া বেগম(৬০), নড়াইলের ভদ্রবিলার দেলোয়ার হোসেন(৭০), খুলনার সদর থানাধীন রূপসা ষ্ট্যান্ড রোডের সুমাইয়া পারভীন(৫০) এবং বাগেরহাট সদরের দশানি এলাকার মুজিবর রহমান(৬৫)। এর মধ্যে নগরীর লবণচরার আছিয়া বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১ জুন ভর্তি হয়ে রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে, নড়াইলের দেলোয়ার হোসেন ৮ জুন ভর্তি হয়ে রোববার রাত পৌনে ২টায়, নগরীর রূপসা ষ্ট্যান্ড রোডের সুমাইয়া পারভীন পয়লা জুন ভর্তি হয়ে গতকাল বেলা পৌনে তিনটায় এবং বাগেরহাটের মুজিবর রহমান ৮ জুন ভর্তি হয়ে গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় মৃত্যুবরণ করেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে গতকাল সোমবার ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষার পর ১১৪জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ জানিয়েছেন। এর মধ্যে খুলনার ৯০জন, বাগেরহাটের ১৯জন, সাতক্ষীরার একজন, যশোরের দু’জন এবং নড়াইলের দু’জন রয়েছেন।
অপরদিকে, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: রাশেদা সুলতানা বলেন, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত বিগত দেড় বছরে বিভাগের দশ জেলায় সর্বমোট ৪০ হাজার ২২৮জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩৩ হাজার ১৭৪জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৭২৬জন।