আমনের এই ভরা মৌসুমের সময়ও মিলাররা কারসাজি করে চালের দাম বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এই বছর কয়েক দফা বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে আউশ ও আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন ধান কম উৎপাদন হয়েছে। এই সুযোগে মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

রবিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে গোপালগঞ্জে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

ড. রাজ্জাক বলেন, সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আমন আবাদের ঘাটতি মেটাতে সরকার ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানি করবে। কারণ এই ঘাটতি মেটাতে না পারলে মিলার, আড়তদার ও চাল ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ানোর সুযোগ পাবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমদানি করা চাল বাজারে আসা শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও সচেষ্ট। সেজন্য সরকার সরকারি-বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে একটি মানুষও ক্ষুধার্ত না থাকে। চালের দাম বাড়ায় ওএমএসের আওতায় চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

বক্তব্য শেষে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (বারি) আওতায় এ গবেষণা কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা , সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।