কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: বাবা-মা কেউ নেই। ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ বাড়িতে নিয়ে আসেন রাজিয়া খাতুন। সেই থেকে লালন-পালন করেছেন। পড়াশোনা করছিল নার্সিং বিষয়ে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করে পরকালে পাড়ি জমিয়েছে শামীমা নাসরিন। মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়ার ওয়াফদা এলাকায়।
চিরকুটে তিনি লিখেছেন- এই পৃথিবীতে আমার কেউ নেই। যে ছিলো সে চলে গেছে। আমার আর অধিকার নেই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার। আমার ইচ্ছের কোন দাম নেই। আমার মৃত্যু জন্য কেউ দায়ী না। আমি ইচ্ছে করেই আমার এই জীবন শেষ করে দিলাম।
শামীমার পালিত মা রাজিয়া খাতুন বলেন, তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবিকা পদে চাকুরি করতেন। আড়াই বছর বয়সে ওর মায়ের কাছ থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন শামীমাকে। এরপর আর কেউ তার পরিবার খোঁজ-খবর নেয়নি। মেয়েকে এইচএসসি পাশ করিয়ে নার্সিংয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় সে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, তিনতলা বাড়িতে শামীমা নিচতলায় থাকতো। নিচতলায় কেউ না থাকায় সে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল রিপোর্টে মেয়েটির শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।