আগের ম্যাচের মতো আজ ফাইনালেও ওপেনিংয়ে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ক্যারিবীয়ান অলরাউন্ডার সুনীল নারাইন। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্কোর হয়তো ২০০ ছাড়াবে। কিন্তু সেটি হতে দেননি ফরচুন বরিশালের বোলাররা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানে থেমেছে কুমিল্লার ইনিংস।

এখন প্রথমবারের মতো বিপিএল শিরোপা জিততে হলে বরিশালকে করতে হবে ১৫২ রান। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন সুনীল নারাইন। মাত্র ২৩ বলে সাজানো তার ইনিংসটিতে ছিল ৫টি ছক্কা ও সমানসংখ্যক চারের মার। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে পাওয়ারপ্লে-তে কুমিল্লার স্কোর দাঁড়ায় ৭০ রান। ৫.২ ওভারের সময় মেহেদী হাসান রানার বলে বাউন্ডারিতে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ক্যাবিবীয়ান। সে সময় কুমিল্লার স্কোর ছিল ২ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান। এর পরই ছন্দপতন ঘটে।

তার আগে দলীয় ৪০ রানের সময় কুমিল্লা শিবিরে প্রথম আঘাতটি হানেন সাকিব আল হাসান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে লিটন দাসকে বোল্ড করেন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ দিকে মঈন আলি ৩৮ ও আবু হায়দার রনি ১৯ রান করেন। আর কেউই বলার মতো স্কোর করতে পারেননি। ইমরুল কায়েস ১২ রান করেছেন।

বরিশালের বোলারদের মধ্যে মুজিব উর রহমান ও শফিকুল ইসলাম ২টি করে এবং সাকিব আল হাসান, ডোয়াইন ব্রাভো ও মেহেদী হাসান রানা একটি করে উইকেট নেন।