এখনও ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকরা
প্রায় চার মাস হতে চললো খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুয়েট) অচলাবস্থার। সর্বশেষ ঈদ-উল-আযহার ছুটি শেষে গতকাল রবিবার কুয়েট খুললেও ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকরা।
ঈক্ষান্তরে কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রমের অচলাবস্থা নিরসনে এবং আর্থিক কার্যক্রম দ্রæত সচল করতে করণীয় নির্ধারণ সম্পর্কে গতকাল রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটি বিভাগের ডীন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের আভ্যন্তরীণ সদস্যবৃন্দ, সকল ডীনবৃন্দ, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার, কন্ট্রোলার, প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক (ইআইএএ)।
কুয়েটের প্রধান প্রকৌশলী এবিএম মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কিভাবে দ্রæত সচল এবং শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে দ্রæত শুরু করা যায় এসব সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি টিম শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকায় যাবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়। ওই টিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, সিন্ডিকেট সদস্য এবং রেজিস্টার থাকবেন বলেও একটি সূত্র জানায়। যদিও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলটি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রæয়ারি থেকে কুয়েট কার্যত অচল রয়েছে। ওইদিন (১৮ ফেব্রæয়ারি) ছাত্রদলের সাথে বহিরাগতরা একত্রিত হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এমন অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের। যদিও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে একটি গোপন সংগঠনের পরোক্ষ সহযোগিতায় পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ভিসি বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। এটি নিয়ে কুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩৭জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারেরও সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক পর্যায়ে অনশনে রূপ নিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ভিসি-প্রোভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি পদায়ন করা হয়। কিন্তু তিনি যোগ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করবেন এমন সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা আবারো আন্দোলন শুরু করেন। তাদের আন্দোলন শুরু হয় ক্লাস বর্জনের মধ্যদিয়ে। গত ২ মে থেকে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে সেটি সম্ভব হয়নি। এক পর্যায়ে ১৯ মে খুলনা ছেড়ে ২২ মে পদত্যাগ করে নিজ কর্মস্থল চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(চুয়েট) চলে যান কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ হযরত আলী। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত অভিভাবকহীন রয়েছে কুয়েট।