/ কুষ্টিয়ায় বিজিবি’র অভিযান: ৬৬ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদক ও নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় বিজিবি’র অভিযান: ৬৬ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদক ও নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় বিজিবি’র পৃথক অভিযানে ৬৬ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদক ও নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার হয়েছে। বুধবার রাতে বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিজিবি।

বিজিবি সূত্র জানায়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এর নির্দেশনায় বুধবার (০৬ আগস্ট) ভোর ৫টা হতে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মিরপুর উপজেলার মিরপুর-তালতলা সড়কের তালতলা এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী মৎস কর্মকর্তা ও ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. জাকিরুল ইসলাম। অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৪০৩ কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারি ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৬ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। এছাড়াও অভিযানে ৭ জনকে আটক করে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর অধীনস্থ প্রাগপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১৪৮/৩-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাথাভাংগা নদীর পাড়ে সুবেদার মো. মজিবুল হক এর নেতৃত্বে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে ভারতীয় ৪৮০ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট এবং ৫ হাজার ৯৫০ প্যাকেট পাতার বিড়ি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ৪ লক্ষ ৭১ হাজার ২৫০ টাকা।

অপরদিকে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় একই ব্যাটালিয়নের প্রাগপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১৪৮মেইন পিলার হতে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গরুড়া স্কুলের সামনের রাস্তার পাশে হাবিলদার রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে বিজিবি’র টহল দল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালায়। এসময় ১৯৫ গ্রাম হেরোইন এবং ৫০০ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।

বিজিবি’র পৃথক অভিযানে উদ্ধার হওয়া মাদক ও নিষিদ্ধ জালের সর্বমোট সিজার মূল্য ৬৬ লক্ষ ২৩ হাজার ২৫০ টাকা বলে বিজিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে।উদ্ধার হওয়া চায়না দুয়ারি ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এবং মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মাদক দ্রব্য ও চোরাচালানী পণ্য ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন স্টোরে জমা করা হয়েছে।

সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মাদক পাচারসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। ভবিষ্যতেও চোরাকারবারী সহ মাদক আটকে বিজিবি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।