সিডনি টেস্টের শেষদিনের কথা, ম্যাচে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করতে প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছে ভারত। এ অবস্থায় ঋষভ পন্থের ব্যাটিং গার্ড মার্ক জুতা দিয়ে মুছে দেন স্টিভ স্মিথ। এরপরই শুরু হয় কড়া সমালোচনা। এই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন এই অজি ব্যাটসম্যান। দাবি করছেন, তিনি সব ম্যাচেই এটা করে থাকেন।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে বল টেম্পারিং করে ধরা পড়েন স্মিথ। তার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দেওয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় থাকতে হয় তাকে। সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনার কথা এখনও কেউ ভুলেনই। এবার মাঠে ফের কেলেঙ্কারিতে জড়ালেন তিনি।

এ বিষয়ে স্মিথ বলেন, সব ম্যাচেই আমি এমনটা করি। এরকম করি আমাদের বোলারদের সুবিধার জন্য। এই অভ্যাসের জেরেই পিচের মাঝে দাগ কাটি। এটা খুবই লজ্জাজনক যে, এরকম একটা ইস্যু নিয়ে আলোচনা তুলে ভারত কত ভালো ব্যাটিং করে ম্যাচ বাঁচালো সেটাকে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে স্মিথের হয়ে কথা বলেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ইস্যুটি নিয়ে স্মিথের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম ও খুবই বিরক্ত। আপনি যদি স্মিথের টেস্ট খেলা দেখে থাকেন তাহলে খেয়াল করবেন, সে এই কাজ প্রতি ম্যাচেই করে থাকে। এমনকি দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার এরকম কাজ করে সে। আমরা সবাই জানি, তার এমন কিছু অভ্যাস আছে। এরমধ্যে একটা হলো উইকেটের মাঝে গিয়ে এভাবে দাগ কাটা।

পেইনের মতে, স্মিথ ভুল কিছু করে থাকলে ভারতীয় ক্রিকেটাররাই তাকে সেটা ধরিয়ে দিতো, আমার মনে হয় গার্ড পরিবর্তন করলে প্রতিপক্ষরাই তাকে সেটা ধরিয়ে দিতো। এটা ওর এমন অভ্যাস যে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচেও অনেকবার করতে দেখেছি।

সিডনী টেস্টের পঞ্চম দিনের পানিপানের বিরতির সময় স্টাম্প ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্যটি। সেখানে দেখা গেছে ৪৯ নম্বর জার্সি পরা (স্মিথের জার্সি নম্বর) খেলোয়াড় ক্রিজের ওপর এসে জুতা দিয়ে পিচের ওপর ঘষে কী যেন একটা করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি পরিষ্কার না হলেও অনেকেই ধারণা করছেন, ব্যাটিং প্রান্তে থাকা পন্থের ব্যাটিং গার্ড মুছে ফেলতেই এমন করেছেন স্মিথ।

মুহূর্তে সেই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অজি ব্যাটসম্যান। ভারতীয় সমর্থকরা ধুয়ে দিচ্ছেন স্মিথকে। এমনকি সাবেক ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দর শেবাগও একহাত নিয়েছেন তাকে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, সব ধরনের চেষ্টা চলেছে, যার মধ্যে রয়েছে স্মিথের ক্রিজের ওপর থেকে পান্তের ব্যাটিং গার্ড মুছে ফেলার চেষ্টাও। কিন্তু কোনও কাজে আসলো না।