স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় কেসিসি সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন জুয়েলসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছে সংগঠনের সাবেক সহ সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। খুলনা মহানগর আদালতের বিচারক রোববার তা গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন।
মামলার আবেদনে উল্লেখিত আসামিরা হলেন, কেসিসি’র সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সাবেক সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল, সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দ, সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান মোড়ল, রইজ হাওলাদার, এড. সাইফুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল সুজন, সাবেক কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক, খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) খুলনার ইকবাল বাহার চৌধুরী, সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন, সাবেক এডিসি গোপিনাথ কানজিলাল, সাবেক ডিবি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, জহিরুল ইসলাম, আমজাদ, আবুল কালাম আজাদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, ঢামেক’র ছাত্রলীগের ক্যাডার ডা. সিয়াম, ছাত্রলীগ ক্যাডার ও পরিচালক ডিএমসি স্কলারস ডা. মঈনুল, শেখ ওমর আলী, আবজাল শিকারী, মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, রতন সরদার, সোহেল হাসান রুমি, ২৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ খুলনা মহানগর সভাপতি আসাদুজ্জামান রাসেল, কেসিসি’র সাবেক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহাদাত হোসেন মিনা, ইসমাইল, শিপার, এবিএম সাত্তার, মো. মিজান শেখ, শফিকুল ইসলাম, রতন মন্ডল, মো. জসিম শিকদার, মো. সাবুদ্দিন, মোহাম্মদ শিকদার, নাসির, মো. খায়রুল বাসার, মো. নাজির হোসেন, মো. কামাল হোসেন, মো. শরিফুল ইসলাম, শাহাজাদা খান, নজরুল ইসলাম, শরীফ আতিয়ার রহমান, রাজ্জাক, সুজা, সৈয়দ মুরসালিন প্রিন্স এবং শেখ শামীম।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই দুপুর ১২ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মার্চ ফর জাস্টিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি সাতরাস্তা মোড় পৌছালে ১-১০ নং আসামির নির্দেশে অন্যান্যরা ছাত্রদের লক্ষ্য করে শর্টগান, পিস্তল বোমা এবং ইট নিয়ে হামলা করে। হামলায় ছাত্ররা রক্তাক্ত জখম হয়। প্রাণ ভয়ে তার এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। রাস্তায় পড়ে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উদ্ধার করে আশপাশের ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে গিয়েও তারা হামলা চালায়। পরে তাদের প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়।
এ ঘটনায় গত ১০ আগস্ট থানায় মামলা দায়ের করতে খুলনা থানায় উপস্থিত হলে সেখানকার কর্মকর্তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে ১২ আগস্ট খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার জন্য আবেদন করা হয়।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন বলেন, রোববার আরজি আদালত গ্রহণ করেছে। তা তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।