খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, গত ১৭ বছরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দলবাজির মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, “দলীয়করণের কারণে মাঠ থেকে খেলার মান একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ক্রীড়াঙ্গনকে দলমুক্ত করে খেলাধুলাকে নতুন করে এগিয়ে নেওয়া হবে।”
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টায় সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির উদ্যোগে জোড়াগেট সি অ্যান্ড বি কলোনি মাঠে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া স্মৃতি (অনূর্ধ্ব-১৬) ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫-এর ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম তুহিন আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্রুত নির্বাচনের আশা করা হলেও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে তা বিলম্বিত হচ্ছে। আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো নির্বাচন ঠেকাতে তৎপর। দেশের মানুষ গত ১৭ বছরে ভোট দিতে পারেনি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পাবে।”
তিনি বলেন, “নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে খেলাধুলাকে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবে। মোবাইল ও মাদক থেকে নতুন প্রজন্মকে দূরে রাখতে স্কুলগুলোতে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা হবে।”
তুহিন বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর দেশের মানুষ প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিচ্ছে, খেলাধুলায় মেতে উঠেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ উচ্ছ্বাস ধরে রাখা হবে। দেশের ফুটবল খেলার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে প্রতিটি জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। এসব খেলার মাধ্যমে তৃণমূল থেকে ভালো মানের খেলোয়াড় তৈরি হবে, যারা একসময় জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির সামনে যে ৩১ দফা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, তাতে ক্রীড়াঙ্গনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
টুর্নামেন্টের ফাইনালে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড দলকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড দল চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রধান অতিথি শফিকুল আলম তুহিন বিজয়ী দলের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি শেখ মোস্তফা কামাল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রেহানা ঈসা, ডা. রফিকুল হক বাবলু, আসাদুজ্জামান আসাদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, একরামুল কবির মিল্টন, মিজানুর রহমান মিলটন, জাকির ইকবাল বাপ্পি, তাজিম বিশ্বাস, কাজি নজরুল ইসলাম, মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, শেখ আজিজুর রহমান, আবুল ওয়ারা, কামরুজ্জামান রুনু, শওকত আলী লাবু বিশ্বাস, আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, কাজী মিজানুর রহমান, ওয়াহিদুজ্জামান হাওলাদার, মো. সাইফুল ইসলাম, আহসান মৃধা খোকন, মুসা হোসেন খান, আহসান হাবীব বাবু, মিজানুর রশিদ মিজান, জামাল হোসেন তালুকদার, ফরহাদ হোসেন, ইয়াজুল ইসলাম অ্যাপোলো, ডা. শাহিন আহসান, কাদের মল্লিক, বক্কার মীর, ইয়াসিন মোল্লা, শেখ মনিরুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, সোহরাব হোসেন, নাদিম আশফাক, মনিরুজ্জামান মনি, আমিন হোসেন মিঠু, নাম্মিন হোসেন মারজান, হাসনা হেনা, নাসরিন হক শ্রাবণী, কামরুন্নাহান হেনা, মুন্নি জামান প্রমুখ।