খুলনা বিএমএর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খুলনায় করোনা ভাইরাসের বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে করোনা হাসপাতালে বেড সংকট, অক্সিজেন সংকট, চিকিৎসক ও জনবলের অভাব তীব্র আকার ধারন করেছে। এই সকল ঘটনায় খুলনা বিএমএ’র পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিএমএর জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২০ সালের মার্চ মাসে আমাদের দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার থেকে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া গেছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার। খুলনা বিএমএ সংবাদ মাধ্যমে বারবার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্থায়ী অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন, প্রয়োজনীয় বেড ও আইসিইউ বেড স্থাপন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও লোকবল নিয়োগ মহানগর, জেলা ও উপজেলায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আইসিইউ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করার দাবী জানিয়ে এসেছে। যথেষ্ট সময় পাওয়ার পরেও কর্তৃপক্ষ এ সকল বিষয়ে নজর না দিয়ে ‘‘সংক্রমন আইন-২০১৮’’ উপেক্ষা করে জেলা উপজেলায় অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠন করে বারবার এই ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে করোনার সংক্রমন মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার পরেও সীমান্তে সংক্রমন বহনকারীদের আটকাতে উদাসীনতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে। যার চুড়ান্ত ভোগান্তি এখন খুলনাসহ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ এবং এই অঞ্চলের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে পড়েছে। করোনার সংক্রমন ঠেকাতে ইতোমধ্যে সারা দেশে ১৬০ জনের উপরে চিকিৎসককে জীবন দিতে হয়েছে।
বিবৃতিতে খুলনা সহ সীমান্তবর্তী অতিসংক্রমিত অঞ্চলের মানুষদের এই সংকট থেকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি অবিলম্বে নি¤েœাক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবী জানানো হয়।
দাবিগুলো হচ্ছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার আর একটি করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট গঠন করে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক করা, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটসহ খুলনা বিভাগের সকল করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্থায়ী কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন, প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগসহ করোনা চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ উপর্যুক্ত ব্যক্তিরদের দিয়ে জেলা ও উপজেলায় করোনা প্রতিরোধ ও মনিটরিং সেল গঠন, প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত থেকে কোন পথেয় যেন কেউ প্রবেশ করতে না পারে তাঁর ব্যবস্থা করা এবং প্রবেশ করলে বাধ্যতামূলক পনের (১৫) দিন সঙ্গ নিরোধ করার ব্যবস্থা করা, সংক্রমন আইন-২০১৮ যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা, সংক্রমিত ব্যক্তিরা পরীক্ষা করার জন্য রাস্তায় যানবহনে যাওয়া ও আসার সময় সংক্রমন ছড়াচ্ছে তাই বাড়ী বাড়ী গিয়ে করোনা পরীক্ষা করার যে পদ্ধতি চালু ছিল তা পুনরায় চালু করা, বিভাগীয় শহর খুলনায় আরও কমপক্ষে দুইটি আরটি পিসি আর ল্যাব স্থাপন করা।-খবরঃ বিজ্ঞপ্তির।