গতকাল দৈনিক পূর্বাঞ্চলের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ‘চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসে আসামী হয়ে মায়ের লাশ নিয়ে ফিরতে হলো সন্তানদের’ শীর্ষক সংবাদ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন খুলনা শাখা।
বিএমএ খুলনার প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ডা. সুমন রায় স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুমেক হাসপাতালের সার্জারী ইউনিট-২এ রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনরা গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে তিনটার দিকে উত্তেজিত হয়ে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শারিরীক লাঞ্ছিত ও সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর করে।
তার পরও উক্ত চিকিৎসক নিজ হাতে মৃত্যু সনদ লেখেন এবং কর্তৃপক্ষ লাশ নিয়ে যেতে বলেন। এর মাঝেই মৃত রোগীর দুই ছেলে আক্রমন করে পালিয়ে যায় এবং অবস্থানরত অপর দুই ছেলে চিকিৎসকদের সাথে পুনরায় ধস্তাধস্তি করে। এসময় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা স্বপ্রনোদিত হয়ে তাদের গ্রেফতার পূর্বক সোনাডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করে। মৃতের স্বজনদের বার বার লাশ নেওয়ার কথা বললেও তারা আটককৃত ব্যক্তিদের না ছাড়লে লাশ নেবে না বলে জানান। এরপর স্বজনরা লোকসমাগম করে হাসপাতাল ঘিরে ফেলে পুনরায় হামলা চালায় এবং চিকিৎসক লাঞ্ছিত ও হাসপাতাল ভাংচুর করে এবং চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করে।
উল্লেখিত ঘটনাকে আড়াল করে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় বিএমএ, খুলনার কার্যকরী পরিষদ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, খুলনা বিএমএ’র সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম, খুলনা বিএমএ’র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা: ধীরাজ মোহন বিশ^াস, ডা: গাজী মিজানুর রহমান, ডা: মোল্যা হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ, কোষাধ্যক্ষ ডা: প্রশান্ত কুমার বিশ^াস, যুগ্ম সম্পাদক ডা: বঙ্গ কমল বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: মো: মামুনুর রশিদ, প্রচার ও জন-সংযোগ সম্পাদক ডা: সুমন রায়, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ডা: এস কে বল্লভ, সাংস্কৃতি ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা: পরিতোষ কুমার চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ডা: মোস্তাফিজুর রহমান, প্রকাশনা ও গ্রন্থাগার সম্পাদক ডা: মাহমুদ হাসান লেনিনসহ কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ।-খবর ঃ বিজ্ঞপ্তির ॥