খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার অবস্থান ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (২৮ জুন) বেলা ৩টা থেকে আন্দোলনকারীরা কেএমপির সামনের খানজাহান আলী রোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
গত মঙ্গলবার, খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনতা উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত কুমার দাসকে আটক করে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযোগ রয়েছে, এসআই সুকান্ত ছাত্রদের ওপর হামলা এবং বিএনপির মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরে জড়িত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলাও রয়েছে।
তবে পুলিশ প্রথমে তাকে ছেড়ে দিলে ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি হয় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করে।
আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—”কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।” তারা বৃহস্পতিবার কমিশনারের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়, যা এর আগে বিএনপি নেতারাও দাবি করেছিলেন।
তাদের অভিযোগ, খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি, চোরাচালান ও মাদকের সিন্ডিকেট দমন ব্যর্থ হওয়ায় পুরো দায়ভার পুলিশ প্রশাসনের ওপর পড়েছে। আন্দোলনকারীরা মনে করেন, এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দায় নিয়ে কমিশনারের দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।
আন্দোলনকারীরা বলছে”খুলনায় দিন দিন খুন, মাদক, চাঁদাবাজি বাড়ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ পুলিশ কমিশনারকে দায়িত্বে রাখা মানে অপরাধীদের আশ্রয় দেয়া। তিনি যদি পদত্যাগ না করেন, তবে লাগাতার কর্মসূচি চলবে।”