কমছে করোনা রোগী, বিভাগে মৃত্যু ১
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনায় কমেছে করোনা রোগী। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যার চেয়ে রোগী কম থাকায় করোনা ইউনিটও সংকুচিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট বন্ধ করে যেমন সাধারণ রোগীদের জন্য উম্মুক্ত করা হয়েছে তেমনি শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়ি হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আংশিক বন্ধ করে শুধুমাত্র আইসিইউ বিভাগটি চালু রাখা হয়েছে। আইসিইউতে চারজন রোগী থাকলেও গত পরশু সোমবার একজনের মৃত্যু হওয়ায় এখন রোগী রয়েছেন তিনজন। কর্তৃপক্ষ বলছেন, ওই তিনজন রোগী সুস্থ হলেই আর কোন করোনা রোগী সেখানে ভর্তি করা হবে না।
এদিকে, বেসরকারি দু’টি হাসপাতালে করোনা ইউনিট থাকলেও গতকাল থেকে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের শয্যা সংখ্যা ৯০টি থেকে কমিয়ে ১৫টি করা হয়েছে। ওই হাসপাতালের ম্যানেজার এইচআর এন্ড এডমিন মো: হামিদুল ইসলাম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
অপরদিকে, খুলনা বিভাগেও করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা কমেছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র খুলনার একজনের মৃত্যু হলেও অন্য নয়টি জেলায় কারও মৃত্যু হয়নি। বিগত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ছয় জেলায় ৯২জনের করোনা শনাক্ত হলেও অন্য চারটি জেলায় কোন শনাক্ত হয়নি।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে বিগত ২৪ ঘন্টায় একজন ছাড়া বিভাগের আর কোন জেলায় কারও মৃত্যু হয়নি। আবু নাসের হাসপাতালে যার মৃত্যু হয়েছে তার নাম রাফিয়া বেগম(৬১) এবং তিনি নগরীর খালিশপুরের বাসিন্দা। আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা: প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চার হাসপাতালে ৩৭৫ শয্যায় ৬৩ রোগী ঃ খুলনার চারটি হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৩৭৫টি শয্যার স্থলে রোগী ভর্তি ছিলেন ৬৩জন। অর্থাৎ এখনও করোনার শয্যা খালি রয়েছে ৩১২টি।
হাসপাতালগুলোর সূত্র মতে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আওতাধীন পরিচালিত ২শ’ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৪৫জন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১০ শয্যার স্থলে তিনজন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৫০ বেডের স্থলে তিনজন এবং সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৫ বেডের স্থলে ১২জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
খুমেক ল্যাবে ৫ জনের শনাক্ত ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষার পর পাঁচজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার চারজন এবং ঝিনাইদহের একজন রয়েছেন। অর্থাৎ গতকালকের খুমেক ল্যাবের করোনা শনাক্তের হার দুই দশমিক ৬৩ শতাংশ।