/ খুলনার প্রবেশদ্বার গল্লামারী সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ: ১৭২টি স্থাপনা অপসারণ

খুলনার প্রবেশদ্বার গল্লামারী সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ: ১৭২টি স্থাপনা অপসারণ

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা নগরীর অন্যতম প্রবেশপথ গল্লামারী সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ। রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে গল্লামারী এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর দুই পাশে প্রায় ১.২ কিলোমিটার সড়কের ওপর থাকা ১৭২টি স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, বহু বছর ধরে সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল দোকান ও অন্যান্য স্থাপনা। এর ফলে সড়ক সংকুচিত হয়ে তীব্র যানজট ও জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে গল্লামারী সেতু নির্মাণকাজও ধীরগতির শিকার হয়।
সওজ সূত্র জানায়, মাসজুড়ে মাইকিং, পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি এবং দফায় দফায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে অবশেষে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযানের সময় অনেক ব্যবসায়ীই যানজট ও ভোগান্তি কমাতে উচ্ছেদে সহযোগিতা করেছেন।
গল্লামারী বাজারের ব্যবসায়ী মালেক জানান,”প্রতিদিন আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেওয়া ও ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছিল। সেতুর কাজ দ্রুত শেষ হলে সবার উপকার হবে।”


খুলনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানিমুল হক বলেন, “সড়কের দুই পাশে প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে সেতুর কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। উচ্ছেদ শেষে এখন কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে।”


খুলনা নগরীর প্রবেশমুখ ময়ূর নদীর ওপর দুটি স্টিল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর। চুক্তি মূল্য ৬৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।


প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, অবৈধ স্থাপনা দখলে থাকায় সেতুর আশপাশে সামগ্রী সংরক্ষণ ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছিল। এতে কাজের অগ্রগতি মন্থর হয়ে পড়েছিল।
সওজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। প্রয়োজন হলে সময় আরও বাড়ানো হবে। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহায়তা করছেন।


নগরবাসীর প্রত্যাশা, উচ্ছেদ কার্যক্রমের পর সেতু নির্মাণ দ্রুত সম্পন্ন হলে নগরে প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রধান এই পথের যানজট অনেকটাই কমবে।
গল্লামারীর বাসিন্দা হাবিবুর বলেন,”এখন সেতু কাজ দ্রুত শেষ হওয়াটা সবচেয়ে জরুরি। এতে শুধু যানজট কমবে না, ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনজীবনও সহজ হবে।”