মোট ব্যয় হবে দুই হাজার
তিনশ’ ৮৮ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনাসহ দেশের আট বিভাগে সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রোববার সকালে রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এসব ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট এ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। খুলনায় এটি নির্মিত হচ্ছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনের ক্যান্সার বিভাগের উত্তরে এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের পশ্চিমে। দুইতলা বেইজমেন্টসহ মোট ১৭ তলার এ ভবন নির্মানে ব্যয় হবে ২৯৮ কোটি টাকা। খুলনাসহ দেশের আটটি ক্যান্সার ইউনিটের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার তিনশ’ ৮৮ কোটি টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় খুলনা ছাড়াও অন্যান্য ইউনিটগুলো নির্মাণ হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে।
খুলনা প্রান্তে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষ থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফলক উন্মোচন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন, পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ, খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: রবিউল হাসান, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, গণপূর্ত বিভাগ খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফ্রান্সিস অমি দি কস্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী, খুলনা-১ অমিত কুমার বিশ^াস, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: আসাদুজ্জামান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী(ইএম) অলিদুল ইসলাম খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: সাইফুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী(ইএম) মো: হায়দার আলীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এদিকে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর গতকাল দুপুরে খুমেক হাসপাতালের নির্মানাধীন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গত ৩১ অক্টোবর থেকেই মূলত: ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পাইলিংয়ের কাজ চলছে। ১৮ মাস সময় নিয়ে কাজটি শুরু হলেও যেহেতু উদ্বোধনেই দেরি হয়েছে সে কারণে পরবর্তীতে সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে বলে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের একজন প্রকৌশলী জানান।
উল্লেখ্য, সরকারের নির্বাচনি ইস্তেহার অনুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে নির্মিতব্য এই সমন্বিত ইউটিটের মধ্যে ক্যান্সারের জন্য ১১৫টি কিডনীর জন্য ১৬৫টি এবং হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য ১৮০টি শয্যা থাকবে। ৮ বিভাগ মিলে সর্বমোট তিন হাজার ছয়শত ৮০টি শয্যা থাকবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে তৃণমূল পর্যায়ে অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা সহজলভ্য হবে এবং বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের প্রবণতা কমবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।