স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বিগত ২৪ ঘন্টায় ৮৫৭জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে কোন মৃত্যু হয়নি। অবশ্য মৃত্যু না হলেও করোনা শনাক্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বেশি। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটেও আগের চেয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যদিও খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে সংখ্যার দিক দিয়ে কিছুটা কমেছে শনাক্ত।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ১০ জেলায় যে ৮৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে খুলনার ২৬০জন, বাগেরহাটের ২৯জন, সাতক্ষীরার ৬১জন, যশোরের ৯৪জন, নড়াইলের ৩২জন, মাগুরার ৪৪জন, ঝিনাইদহের ৫২জন, কুষ্টিয়ার ২১৩জন, চুয়াডাঙ্গার ৫১জন ও মেহেরপুরের ২১জন রয়েছেন।
এ নিয়ে বিভাগে এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ২০ হাজার ১৩২জন। আর মৃত্যুবরণ করেন তিন হাজার ২০৪জন।
খুলনার হাসপাতালে বাড়ছে রোগী ঃ খুলনার তিনটি হাসপাতালে আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে করোনা রোগী। একমাত্র সরকারি হাসপাতাল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গতকাল সকাল পর্যন্ত মোট রোগী ছিল ৪২জন। যা আগের দিন ছিল ৩৩ জন। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে গতকাল করোনা রোগী বেড়েছে নয়জন। গতকালকের এ হাসপাতালে আইসিইউতে নয়জন, রেডজোনে ১১ জন এবং ইয়োলো জোনে ছিলেন ২২জন। খুমেক হাসপাতারের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার এ তথ্য জানান।
এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটেও গতকাল রোগী বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচজনে। যা আগের দিন ছিল চারজন। এছাড়া গতকাল থেকে ওই হাসপাতালে করোনা ইউনিটে বেড সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আগে করোনা ইউনিটে ১৫টি বেড থাকলেও গতকাল থেকে ১৮টি করা হয় বলে হাসপাতালের ম্যানেজার(এডমিন এন্ড এইচআর) মো: হামিদুল ইসলাম খান জানান।
অপর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের করোনা ইউনিটে নতুন করে রোগী ভর্তি না হলেও গতকাল পর্যন্ত একজন ভর্তি ছিল বলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: গাজী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে গতকাল শুক্রবার ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার পর ৬২জনের করোনা শনাক্ত হয় বলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর মধ্যে খুলনার ৫০জন, বাগেরহাটের পাঁচজন, সাতক্ষীরার চারজন ও যশোরের তিনজন রয়েছেন। এ তথ্য অনুযায়ী গতকালকের খুমেক ল্যাবের করোনা শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।