# মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আওতাধীন করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গতকালও ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৩০জন বেশি রোগী ভর্তি ছিল। অর্থাৎ একশ’ শয্যার এ হাসপাতালটিতে গতকাল সকালে রোগী ছিল ১৩০জন। এটি নিশ্চিত করেছেন খুমেক হাসপাতালের আরএমও এবং করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার।
তবে আশার কথা হচ্ছে, আগের দিন এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতজনের মৃত্যু হলেও গতকাল কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। অবশ্য খুলনা মেডিকেলের আরটি পিসিআর ল্যাবে গতকালও করোনা রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ গতকাল এ ল্যাবে ৩৭৭টি নমুনা পরীক্ষার পর সর্বমোট ১১৪জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ৩৭৭টি নমুনার মধ্যে খুলনার নমুনার সংখ্যা ছিল ২৫২টি। বাকীগুলো অন্যান্য জেলার।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ বলেন, গতকাল শনাক্ত হওয়া ১১৪জনের মধ্যে খুলনার ৭১জন, বাগেরহাটের ২৯জন, সাতক্ষীরার তিনজন, যশোরের চারজন, নড়াইলের চারজন, পিরোজপুরের দু’জন এবং ঝিনাইদহের একজন রয়েছেন।
এদিকে, গতকাল সকাল আটটার পর বিগত ২৪ ঘন্টার চিত্র তুলে ধরে খুলনার সিভিল সার্জনের দপ্তর জানায়, খুলনা মহানগরীসহ জেলার নয়টি উপজেলায় বিগত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮০জন। এসময় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৪১৪জনের। যদিও ওই হিসাবটি খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাব ছাড়াও জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের এন্টিজেন পরীক্ষার রিপোর্টসহ। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওই হিসাব অনুযায়ী নগরীর আটটি থানার মধ্যে বিগত ২৪ ঘন্টায় তিনটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল বেশি। এ তিনটি থানা হচ্ছে খুলনা সদর ২৫%, সোনাডাঙ্গা ৩৩% এবং খালিশপুর ১৭%। অন্য থানাগুলোর মধ্যে দৌলতপুর ৭% ও আড়ংঘাটা থানা এলাকায় ৫% করোনা আক্রান্ত হলেও বাকী থানাগুলোতে কেউ আক্রান্ত হয়নি। এছাড়া জেলার নয়টি থানার মধ্যে তেরখাদা ৭১%, দিঘলিয়া ৫২%, পাইকগাছা ৩০%, কয়রা ১৪%, ডুমুরিয়া থানা এলাকায় ১২% আক্রান্ত হয় বলেও সূত্রটি জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মতে, গত বছর মার্চ থেকে এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫১২জন, খুলনা জেলায় ১০ হাজার ৯৮২জন এবং বিভাগে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৯০ জন ও খুলনা জেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯১জন। আবার খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯৫জন।