# শেষ হয়ে যাচ্ছে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার ২৮৮টি নমুনা পরীক্ষার পর ৬৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ৫২জন, বাগেরহাটের দু’জন, নড়াইলেল দু’জন, মাগুরার একজন, কুষ্টিয়ার একজন, চট্টগ্রামের দু’জন, নারায়নগঞ্জের একজন, মুন্সিগঞ্জের একজন, নাটোরের একজন এবং সিলেটের একজন রয়েছেন বলে খুমেক’র উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ জানিয়েছেন।
এদিকে, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: রাশেদা সুলতানা বলেন, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় সর্বমোট ৩২ হাজার ৪৩৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩০ হাজার ১৭৯জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৯৭জন।
অপরদিকে, খুলনায় শেষ হয়ে আসছে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ। গতকাল পর্যন্ত পর্যন্ত খুলনা মহানগরীসহ জেলায় সর্বমোট এক লাখ ২১ হাজার ৫৬০টি টিকা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এক লাখ ২৫ হাজার টিকার মধ্যে আর বাকী আছে মাত্র তিন হাজার ৪৪০টি। প্রথম ডোজের টিকা আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া চলছে। কিন্তু টিকার সংখ্যা কমে আসায় দু’মাস অতিবাহিত হওয়ার পর যাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা তাদেরকে মধ্যেও সকলকে দেয়া হচ্ছে না। এজন্য আগে যেখানে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টিকা দেয়া হতো এখন সেখানে দেয়া হচ্ছে মাত্র এক থেকে দেড় হাজার। গতকাল খুলনা মহানগরীর পাঁচটি এবং জেলার নয়টি উপজেলা কেন্দ্রে সর্বমোট এক হাজার ৩১০টি টিকা দেয়া হয়েছে বলে সিভিল সার্জনের কার্যালয় জানিয়েছে। অনেকে বলছেন, গত ১৪ মার্চ যাদের প্রথম ডোজ দেয়া হয় নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা। কিন্তু ১৪ এপ্রিল ঈদের ছুটি থাকায় ছুটির পর যেদিন অফিস শুরু হবে সেদিনই দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা থাকলেও এমন অনেকের মোবাইলে গতকাল পর্যন্ত এসএমএস যায়নি।
এ ব্যাপারে খুলনার সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, আট সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে। সুতরাং যারা এসএমএস পাননি তারা হয়তো ১২ সপ্তাহ বা তিন মাসের মধ্যেই এসএমএস পাবেন এবং তখনই দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।