# কোভিড হাসপাতালে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৩৭৪টি নমুনা পরীক্ষার পর ১৪৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার এ পরীক্ষাগুলো করা হয় বলে খুমেক’র উপাধ্যক্ষ ডা. মো: মেহেদী নেওয়াজ জানান।
তিনি বলেন, খুলনা মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে গতকাল যে ৩৭৪টি নমুনা পরীক্ষা হয় তার মধ্যে খুলনার নমুনার সংখ্যা ছিল ২২৮টি। শনাক্ত হওয়া ১৪৮ জনের মধ্যে খুলনার রয়েছেন ৮৯ জন। বাকীদের মধ্যে বাগেরহাটের ৪৬, সাতক্ষীরার পাচ, যশোরের ছয় এবং নড়াইল ও পিরোজপুরের একজন করে রয়েছেন।
এদিকে, খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গতকালও ছিল অতিরিক্ত রোগী। সকালে খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, ১৪৩ জন রোগী করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় রেডজোনে ছিলেন ৬৬ জন, এইচডিইউতে ছিলেন ৩৪ জন এবং আইসিইউতে ছিলেন ১৩ জন। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি ছিলেন ৩০ জন।
করোনা হাসপাতালে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় খুমেক হাসপাতাল কতৃপক্ষ করোনা হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিট চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে আপাতত হাসপাতালের সাবেক অ্যাস্ট্রোলজি বিভাগকে নিরবাচন করা হয়েছে বলে খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোঃ রবিউল হাসান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যেহেতু করোনা হাসপাতালের পাসেই ওই ওয়ার্ডটি সেহেতু সেখানেই দ্বিতীয় ইউনিট করা নিরাপদ হবে। তবে আগে সাবেক অর্থপেডিক ওয়ার্ডকে নিয়ে করোনা হাসপাতাল করার পরিকল্পনা করা হলে সে যায়গা থেকে সরে এসেছেন কতৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক বলেন, সাবেক অর্থপেডিক ওয়ার্ডটি করোনা ওয়ার্ড করা হলে অন্যান্য রোগীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন। তাই শুধুমাত্র আগের গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগকে করোনার দ্বিতীয় ইউনিট করা হচ্ছে। এজন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার ও নারস পদায়ন করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, গতকাল সকাল পরর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় ৩৯ হাজার ৬১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ১২ জন এবং মৃত্যুবরন করেন ৭১৯ জন। তিনি বলেন, বিগত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে করোনা শনাক্ত হয় ৬০৬ জনের, সুস্থ হন ১৬৬ জন এবং মৃত্যুবরন করেন আটজন।