খুলনা বিভাগে বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়াতে নয়টি নতুন জিআইএস (গ্যাস ইনসুলেটেড সুইচগিয়ার) টাইপের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৫ কোটি ৭২ লাখ ৭৮ হাজার ৮২৫ টাকা।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির (ক্যাবিনেট কমিটি অন গভর্নমেন্ট পারচেজ সিসিজিপি) বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের দুটি প্রস্তাবে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাপবিবো) ‘বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ)’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নং-১১ এর আওতায় চারটি নতুন ৩৩/১১ কেভি ১×১০/১৪ এমভিএ ক্ষমতার জিআইএস টাইপ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করলে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপন্সিভ দুইটি প্রস্তাব যাচাই শেষে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি) সর্বনিম্ন দরদাতা টিএসটিএল-ইইএল কনসোর্টিয়ামকে সুপারিশ করে। এই প্যাকেজের ব্যয় হবে ১০৪ কোটি ৬৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫০ টাকা, যা দাফতরিক প্রাক্কলিত দরের তুলনায় ৯.৪৮ শতাংশ বেশি।
একই বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে একই প্রকল্পের প্যাকেজ নং-৩ এর আওতায় আরও পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি ২×১০/১৪ এমভিএ ক্ষমতার জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। এখানেও আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করলে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়, যার মধ্যে দুইটি রেসপন্সিভ প্রস্তাব যাচাই শেষে একই কনসোর্টিয়ামকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুপারিশ করে টিইসি। এই প্যাকেজের ব্যয় হবে ১৫১ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৭৫ টাকা, যা প্রাক্কলিত দরের তুলনায় ৯.০৫ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) টার্মিনালের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ কনট্রাক্টর নিয়োগ সংক্রান্ত দরপ্রস্তাব বাতিল করার অনুমোদনও দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
