# কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের নিরাপত্তা জোরদারের আহবান

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে গতকাল সোমবার ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার পর ৫৩জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে খুলনার ৫১জন আর বাকী দু’জন বাগেরহাট ও নড়াইলের। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: রাশেদা সুলতানা বলেন, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় সর্বমোট ৩২ হাজার ৩২২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৯৭জন।
অপরদিকে, খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, নগরীর বিভিন্ন হোটেল ও সরকারি-বেসরকারি অফিসে স্থাপিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আসা সর্বমোট ৩৭৫ জন অবস্থান করছেন। এর মধ্যে টিটিসিতে ৮৬জন, হোটেল নিউসেফে ২৫জন, পিটিআইতে চারজন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ৫১জন, হোটেল এ্যাম্বাসেডরে ৪৫জন, এইচএসটিটিসিতে ২৫জন, হোটেল ডি এ প্যালেসে ১৪জন, ফুলতলায় ৫০জন, যুব উন্নয়নে ২৬জন, হোটেল আরাফাতে ১৯জন, হোটেল জেলিকোতে ২৫জন এবং হোটেল ক্যাসল সালামে পাঁচজন।
অবশ্য, নগরীর পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে একজন এএসআই কর্তৃক ভারত ফেরত এক যুবতী ধর্ষণের ঘটনার পর অন্যান্য কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বাড়তি নজরদারি রেখেছেন বলে জানা গেছে। সেই সাথে এ খবর বিভিন্ন মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানরতদের কাছে পৌঁছলে তাদের মধ্যেও আতংক দেখা দিয়েছে। আবার এক পুলিশের অপকর্মের কারণে সব পুলিশকে ঢালাওভাবে অনেকে বাঁকা চোখে দেখছে। যেটি পুলিশের জন্য কলংক বলেও কেউ কেউ মনে করছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তার শাস্তি নিশ্চিত করারও দাবি উঠেছে। তা’ না হলে পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন। এজন্য নগরীর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করারও দাবি উঠেছে।