স্টাফ রিপোর্টার ঃ একদিন বিরতি দিয়ে আবারো মৃত্যুর মিছিল খুলনা মেডিকেলে। মঙ্গলবার ২০ ঘন্টার ব্যবধানে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাত জনের মৃত্যু হলেও বুধবার কোন মৃত্যু ছিল না। কিন্তু গতকাল আবারো করোনা হাসপাতালে তিনজন এবং খুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আরও একজনের মৃত্যু হয়। করোনা হাসপাতালে মৃত্যুবরণকারী তিনজনের বাড়ি বাগেরহাট জেলায় এবং খুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী খুলনা জেলার রূপসা এলাকার বাসিন্দা।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ২টা পাঁচ মিনিট থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার ১০ মিনিট পর্যন্ত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা এলাকার বাসিন্দা শেখ জামিরুল ইসলাম(৪৫), মংলার মালগাজী এলাকার বাসিন্দা আসলাম খাঁ(৪০) এবং মোড়েলগঞ্জের কঢ়ুবুনিয়ার শামীম হোসেন(৩৯)। রামপালের গৌলম্ভার শেখ জামিরুল ইসলাম ৬ জুন এ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বুধবার দিবাগত রাত ২টা পাঁচ মিনিটে, মংলার আসলাম খাঁ বুধবার সকালে ভর্তি হয়ে রাত পৌনে তিনটায় এবং মোড়েলগঞ্জের শামীম হোসেন ৮ জুন ভর্তি হয়ে গতকাল বিকেল চারটা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।
এছাড়া খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়ার পর উপজেলার শেনেরবাজার এলাকার বাসিন্দা শেখ আজগর আলী(৫২) নামের এক রোগীকে বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত: বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে গতকাল এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হারে করোনা শনাক্ত হয়েছে। খুমেক’র উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ বলেন, গতকাল এ ল্যাবে ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষার পর সর্বমোট ১৪৮জনের করোনা পজেটিভ হয়। যা শতাংশের দিক দিয়ে ৩৯। এটি এ ল্যাবের এ যাবতকালের সর্বোচ্চ হার বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গতকাল যে ১৪৮জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় তাদের মধ্যে খুলনার ১০৯জন, বাগেরহাটের ১৪জন, সাতক্ষীরার সাতজন, যশোরের ছয়জন এবং নড়াইলের দু’জন রয়েছেন।