/ খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ২০ কিলোমিটারের বেহাল দশা, যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি

খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ২০ কিলোমিটারের বেহাল দশা, যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফয়লাহাট(রামপাল): খুলনা- মোংলা মহাসড়কের ২০ কি.মি সড়ক পথের বেহালদশা হয়েছে। খানা-খন্দে ভরা ওই ২০ কি.মি সড়ক অতিক্রম করতে সব ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিচ্ছে। ২/৩ বছর অন্তর অন্তর সংস্কার করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছেনা। ফলে ভোগান্তি কোনো ভাবেই দুর হচ্ছেনা এ মহাসড়কে।


বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, আনুমানিক বিগত ১৯৮০ সালে খুলনা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত মোট ৪২ কি.মি. দৈর্ঘের এ মহাসড়কটি নির্মান করা হয়। এর মধ্যে খুলনা থেকে দিগরাজ পর্যন্ত ৩০ কি. মি.সড়ক আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও আব্দুল জব্বার কনস্ট্রাকশনস নামের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মান করেন।


দিগরাজ থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত ১০ কি.মি. সড়ক নির্মান করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সড়কটি নির্মানের পর মোংলা বন্দরের সাথে নৌপথে আমদানী- রপ্তানী নির্ভর পন্য পরিবহন অনেকটা কমে আসে। এখন অধিকাংশ আমদানী রপ্তানী পন্যে এ মহাসড়ক দিয়ে হয়।


সূত্রমতে, এ মহাসড়কটি নির্মানের আনুমানিক ৩০ বছর পর প্রথম দফায় সংস্কার করা হয়। এরপর প্রতি দুই তিন বছর অন্তর অন্তর সড়কটি সংস্কার করছে সড়ক বিভাগ। সংস্কার করতে করতে ভুমি থেকে সড়কের উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুটের মতো বেড়ে গেছে। বাগেরহাট সড়ক বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট এমন একজন বলেন প্রথম যখন এ মহাসড়কটি নির্মান করা হয় তখন অত্যন্ত মজবুত ও টেকসই ভাবে কার্পেটিং করা হয়।
পরবর্তীতে যতবার ওই কার্পেটিং এর উপর পুন. কার্পেটিং করা হয়েছে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন একটি মজবুত লেয়ারের উপর যখনি দুর্বল কার্পেটিং করা হচ্ছে তখন তা দাড়াচ্ছেনা। কিছুদিন যেতে না যেতেই ভারী যানবাহন চলাচল করায় সেই কার্পেটিং উঠে খানা খন্দকে পরিনত হচ্ছে।


এখন দিগরাজ বাজার থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত খানা খন্দকে ভরা ১০ কি.মি. সড়কের বেহালদশা হয়েছে। বেলাই সেতু থেকে কাটাখালি পর্যন্ত প্রায় ১০ কি.মি সড়কে ছোট-বড় খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে। সব মিলে এ মহাসড়কের ২০ কি.মি. সড়কের বেহাল দশা হয়েছে। তবে এবছর দিগরাজ থেকে বেলাই সেতু পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ৬ কি.মি. সড়ক সংস্কার করেছে বাগেরহাট সড়ক বিভাগ।


বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমাদের একটি মোবাইল ট্রাক মেইনটেইনস এ নিয়োজিত আছে। কাটাখালি থেকে দিগরাজ পর্যন্ত যেসব স্থান ক্ষতিগ্রস্ত আছে সেই সব স্থান মেরামত করছে। তিনি আরও বলেন, সড়কটি লবনাক্ত ও উপকুলীয় এলাকায় হওয়ায় অনেক সময় বন্যা অথবা জলোচ্ছাসের ক্ষতি হয়। এ কারনে কার্পেটিং লেয়ার উঠে খানা খন্দ হয়েছে। তাছাড়া দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় কাটাখালি থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।


মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, আমদানী রপ্তানী বানিজ্য সচল রাখতে সড়কের সংস্কার কাজ চলমান চলমান আছে। এবারের বর্ষা মৌসুম শেষে শূষ্ক মৌসুমে পুরোপুরি সংস্কার করা হবে।