নিজস্ব সংবাদদাতা, ফয়লাহাট(রামপাল): খুলনা- মোংলা রেলপথে রামপাল উপজেলায় অন্তত: ১৬ টি স্থানে রেলক্রসিং অরক্ষিত রয়েছে। নেই কোনো নিরাপত্তা কর্মি। সাধারন মানুষ দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে এসব রেলক্রসিং যানবাহন নিয়ে পার হচ্ছে।
জানা গেছে খুলনা মোংলা দীর্ঘ ৯৭ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে রামপাল উপজেলার বুক চিরে প্রায় ২০ কিলোমিটার রেলপথ বয়ে গেছে। এ ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৮ টি স্থানে রেলক্রসিং রয়েছে। সাধারন মানুষ দিন- রাত এসব রেলক্রসিং এর উপর দিয়ে পায়ে হেটে চলাচলের পাশাপাশি যানবাহন নিয়ে চলাচল করছে। কোনো রেলক্রসিং এ নেই কোনো নিরাপত্তা কর্মি। ট্রেন আসার শব্দ শুনে মানুষ রেলক্রসিং পারাপার নিজেরাই বন্ধ রাখেন।
এ রেলপথে দিনে মোংলা থেকে খুলনা-যশোর হয়ে বেনাপোল স্থল বন্দর পর্যন্ত এক জোড়া ট্রেন সকাল- বিকাল চলাচল করে। মোংলার দিগরাজ রেল ষ্টেশনে প্রবেশের মুখে একটি রেলক্রসিং রয়েছে। কয়েক মাস পুর্বে ্ওই স্থানে রেলক্রসিংয়ে নিরাপত্তা রক্ষি না থাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে দু’জনের মৃত্যু। এরপরও রেল কর্তৃপক্ষ অন্য কোনো রেলক্রসিংএ কোনো নিরাপত্তা কর্মি দেয়নি। অনেক সময় স্কুল, মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেনের ছাত্রছাত্রীরা স্কুল ছুটির সাথে সাথে দৌড়ে পার হয় রেলক্রসিং ।
বেশিরভাগ ভাগ রেলক্রসিং এর ভুমি থেকে গড় উচ্চতা ৯-১০ ফুটের মতো বেশি থাকায় সাধারন মানুষ নীচ থেকে উপরে উঠে রেলপথ পারাপারের সময় হাপিয়ে ওঠেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পাশাপাশি দুর্বল লোকজন বেশি দুর্ভোগ পান। ভাগা , ভরশাপুর ও রনশেন এলাকায় তিনটি রেলক্রসিং এ নিরাপত্তা চৌকি থাকলেও নেই কোনো প্রহরী। এ উপজেলার সব কয়টি রেলক্রসিংই অরক্ষিত।
খুলনা- মোংলা রেলপথের মোট ৯৭ কিলোমিটারের মধ্যে রামপাল উপজেলায় প্রায় ১৮ টি রেলক্রসিং রয়েছে। রেলক্রসিংগুলো হলো সোনাতুনিয়া বলিয়াঘাটা, সোনাতুনিয়া মাদ্রাসা, ভরশাপুর, ভরশাপুর বড়নবাবপুর, ভরশাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন, ঝালবাড়ি, ধলদাহ, সন্তোষপুর, রনশেন, ভাগা, তেতুলিয়া, বগুড়া, বেলাই, বাবুরবাড়ি ঊল্লেখযোগ্য।
খুলনা- মোংলা রেলপথ নির্মান প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা জানান লোকবলের অভাবে ভাগা রেল ষ্টেশনের পাশাপাশি নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ৩/৪ টি রেলক্রসিং এ নিরাপত্তা রক্ষির জন্য চৌকি বসান্ োহয়েছে। সর্বোপরি লোকবলের সংকটে এমন অবস্থা হয়েছে।