সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যদি গ্রেপ্তার করা হয় তবে বিক্ষোভ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য সতর্ক প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির প্রশাসন। ওয়াশিংটন ডিসি ও লস অ্যাঞ্জেলস কর্তৃপক্ষ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি জোরদার করেছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।ট্রাম্প আশঙ্কা করছেন, মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে তিনি সমর্থকদের প্রতিবাদেরও আহ্বান জানিয়েছে।ম্যানহাটনের প্রসিকিউটর ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করতে পারেন। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি চেপে যেতে গোপনে অর্থ প্রদানের তদন্ত চলছে তার বিরুদ্ধে। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।এদিকে গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্পের সম্ভাব্য গ্রেপ্তারকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটন জেলা আদালতের চারপাশে ব্যারিকেড বসিয়েছে।কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম ফৌজদারি মামলা হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প তার সমর্থকদের এর প্রতিবাদ করার আহ্বান জানানোয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাড়তি সতর্কতা নিতে হচ্ছে।এতে বলা হয়, নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। শহরে কোনো ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনা ঘটে কিনা সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকিতে পড়তে পারে এমন কোনো লক্ষণ আপাতত নেই।২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার সময় এক পর্ন তারকার মুখ বন্ধ করতে তাকে অর্থ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।গত শনিবার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। সেসময় তিনি তার সমর্থকদের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বানও জানান।এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে যায় এবং রাজনৈতিক মহল বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে।