নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে ঘরে ঢুকে আমেনা বেগম নামের এক নারীকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (২৮ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামের সাইক্লোন শেল্টার সংলগ্ন মো. এমরান উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমেনা বেগম (৫০) শতফুল গ্রামের গ্রামের মো. এমরান উদ্দিনের স্ত্রী।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল মোমিন বাবলু বলেন, আমেনা বেগমের স্বামী নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তার চার মেয়ে ও দুই ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করে। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজন বসবাস করেন। বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের স্বামী এমরান বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রী নামাজ পড়ছে। এরপর তিনি বাজারে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা খোলা, ঘরে স্ত্রী নেই। ঘরের মাঝের কক্ষে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি আমাদের জানান। এরপর তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে দেখতে পাই আমেনার রক্তাক্ত মরদেহ পুকুরে ভাসছে। ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কারা তাকে গলাকেটে হত্যা করে মরদেহ বসতঘরের পাশে পুকুরে ফেলে দেয়।
নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বলেন, গলাকেটে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই নারীর মরদেহ পুকুরে ফেলা হয়। পরে পুকুর থেকে রাত সোয়া ২টার দিকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।