স্টাফ রিপোর্টার ঃ চলে গেলেন সবার প্রিয় ‘ফারুক ভাই’। পুরো নাম মো: ফারুক হোসেন। সবার কাছে তিনি পরিচিত ‘ফারুক ভাই হিসেবে’। ফারুক ভাইয়ের শাহী চাপ হিসেবেই তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছিলেন। নগরীর ময়লাপোতায় দীর্ঘদিন তিনি কাবাব-চাপের ব্যবসা করেছেন। বর্তমানে তার দোকান রূপসা সেতু বাইপাস সড়কের হাতিয়া ব্রিজ এলাকার নিজ বাড়ির সামনে। তার ছেলের দোকান একই নামে নগরীর ফেরিঘাট এলাকায়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সবার প্রিয় ফারুক ভাইয়ের মৃত্যু হয় মহামারী করোনাভাইরাসে। ভর্তি ছিলেন খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে। তার স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রয়েছেন।
মো: ফারুক হোসেন নামের বিগত ৪০ বছর আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় প্রথমে কাবাব ও চাপের ব্যবসা শুরু করেন। শিখেছিলেন ভারতে গিয়ে। দেশে এসে যশোরের এক ওস্তাদের কাছ থেকে পরিপূর্ণতা লাভ করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় শুরু করলেও মাস খানেক পর নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে ফারুক ভাইয়ের শাহী কাবাব নাম দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। কাবাবের ব্যবসা করেই তিনি জমি কেনেন রূপসা সেতু বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। যে এলাকার নাম ওয়াজেদ নগর। পাশেই হাতিয়া ব্রীজ। কিছুদিন আগে সেখানে বাড়ির সামনেই বাইপাস সড়কের পাশে নিজে একই ব্যবসা শুরু করেন। তার ছেলে রিয়াজকে দোকান করে দেন নগরীর ফেরিঘাট এলাকায়।
কিছুদিন আগে তিনি অসুস্থ হলে নগরীর নার্গিস মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নমুনা পরীক্ষার পর করোনা ধরা পড়ে। প্রথমে ভর্তি করা হয় খুলনা জেনারেল হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয়। শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে। প্রথমে করোনা ইউনিটের রেডজোনে রেখেই তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। করোনার পাশাপাশি তিনি ষ্ট্রোক করেন বলেও চিকিৎসকরা জানান। পরে স্থানান্তর করা হয় আবু নাসেরের আইসিইউতে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
মরহুমের বড় ছেলে রিয়াজ জানান, গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার বাড়ির সামনে। পরে তাকে দাফন করা হয় নগরীর বসুপাড়া কবরস্থানে।