খুমেক হাসপাতালে রোগী মৃত্যু ও মারামারি
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে মারমারির ঘটনায় লাশ আটকে রাখার পর ইন্টার্নী চিকিৎসকদের দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বামী ও নগরীর দৌলতপুর থানাধীন পাবলা মধ্য কারিকরপাড়া পুরাতন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মো: আ: রাজ্জাক।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে মৃত: নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১০ এপ্রিল দিবাগত মধ্যরাতে খুমেক হাসপাতালে তার স্ত্রী চিয়ারুন্নেছা ডাক্তারদের অবহেলায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই ঘটনায় তার দুই ছেলে কর্তব্যরত ডাক্তারদের কাছে গিয়ে রোগীর কাছে না আসার কারণ জানতে চেয়েই হামলার শিকার হয়। এছাড়া লাশ আটকে রেখে তাদেরকে পুলিশেও দেয়া হয়। তার পরেও ডাক্তাররা তাদের নামে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি মানবিক দিক বিবেচনা করে উক্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আ: রাজ্জাক আরও বলেন, খুমেকের ইন্টার্ন ডাক্তাররা তার ছেলেদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তার স্ত্রী সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলো আর তার দুই ছেলে প্রতিবাদ করে মার খেলো এবং থানায় আটকে থাকলো। আবার তিনি নিজেও মাফ চাইতে গিয়েও ডাক্তারদের হাতে মার খেলেন। এরপর উল্টো মামলা করা হলো ছেলেদের নামে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত তার ছেলে মো: তরিকুল ইসলাম কাবির বলেন, এমনিতে ১৩ ঘণ্টা মায়ের মরদেহ আটকে রেখে ডাক্তাররা তাদের সাথে জুলুম করেছেন, তাদের দুই ভাইকেও থানায় আটকে রাখা হয়, তার বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করেন ইন্টার্ন ডাক্তারা। তারপরও তারা মামলা করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ডাক্তাররা মায়ের মরদেহ আটকে রাখার কারণে ফুলে উঠেছিল বলেও তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৃত পিয়ারুন্নেছার ছেলে সাদ্দাম হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের খুলনা মহানগর কমিটির সেক্রেটারি শেখ মো. নাসির উদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজন।